মধ্যরাতে ছিনতাইয়ের সময় মাইক্রো চালকের হাতে ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় থেকে বাসায় ফেরার পথে এক মাইক্রোবাস চালককে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় এসে তিন ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তবে ভিকটিমের উপস্থিত বুদ্ধি ও সাহসিকতায় একজন ছিনতাইকারী ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২১ জুন) ভোররাত ৪টার দিকে। আহত মো. রিপন জানান, রাতে কাজ শেষ করে নিজের মাইক্রোবাসটি জিইসি মোড়ে পার্ক করে তিনি প্যাডেলচালিত রিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন। রিমা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এসে রিকশার গতিরোধ করে।

অটোরিকশা থেকে নেমে তিন যুবক তাঁকে ঘিরে ফেলে। একজন ধারালো ছুরি দিয়ে রিপনের ডান হাতে ও কানে আঘাত করে। এরপর তাঁর মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয় এক ছিনতাইকারী।

 

চালক রিপন জানান, ‘‘গলায় ছুরি ঠেকিয়ে যখন ভয় দেখাচ্ছিল, তখন ভেবেছিলাম চুপ থাকলে হয়তো ওরাই শেষ করে দেবে। আমি তখন ছুরিটা ধরে ফেলি, একজনকে মাটিতে ফেলে ধরি।’’

ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাকি দুইজন ছিনতাইকারী অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে মাটিতে ফেলে রাখা একজনকে ধরে রাখতে সক্ষম হন রিপন।

এ সময় ওই সড়কে টহলরত কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিপনের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত শুনে ছিনতাইকারী ও ব্যবহৃত অটোরিকশাটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, “রাতের নির্জন সময় ব্যাটারিচালিত রিকশা ব্যবহার করে এই চক্র নগরীতে ছিনতাই চালিয়ে আসছিল। ভিকটিম রিপনের সাহসিকতায় একজনকে হাতেনাতে ধরতে পেরেছি। পলাতক দুইজনকে শনাক্ত করে ধরতে অভিযান চলছে।”

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।