শহীদের তালিকায় আজ আমার নাম থাকত: আইরিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা আইরিন সুলতানা। এই নায়িকাকে নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে সম্প্রতি, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তিনি।

নায়িকা জানান, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার সঙ্গেই আমি ছিলাম। এমনকি আমি রাস্তায়ও নেমেছিলাম। একদিন তো পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার ধাওয়া পালটা ধাওয়ার মধ্যেই পড়েছিলাম। যেখান থেকে প্রাণ নিয়ে সেদিন ফিরেছিলাম। নয়তো আজ আর কথা বলতে পারতাম না। হয়তো শহিদের তালিকায় আমার নামও থাকত’।

আইরিন সুলতানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে গঠিত বিতর্কিত ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বিষয়ে জানান, ‘এটি পুরোটাই একটি মিথ্যাচার। কোনো একটি মহল উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি করেছে, আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপণ্য করার জন্য। এ ধরনের কোনো গ্রুপের সঙ্গেই আমার সম্পৃক্ততা নেই। এমনকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আমার কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই। আমি একজন শিল্পী হিসাবে আমার কাজটাই করে যাচ্ছি শুধু’।

তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে আমি একেবারেই ভিন্ন। তা ছাড়া সেই গ্রুপে কারা ছিল তাদের নাম কিন্তু ইতোমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে। সেখানে কিন্তু আমার নাম নেই। আমার নাম যদি থাকত তাহলে আমি মেনে নিতাম, বা তখন আমার অবস্থান আমিও ক্লিয়ার করতে পারতাম। কিন্তু যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সে বিষয়ে আমি কি কথা বলব?

আইরিন সুলতানা অভিনীত একাধিক সিনেমা প্রস্তুত রয়েছে। তার মধ্যে বুলবুল জিলানীর পরিচালনায় ‘রৌদ্র ছায়া’, জেসমিন আক্তার নদীর পরিচালনায় ‘চৈত্র দুপুর’। এ ছাড়া রয়েছে ‘হৃদ মাজারে তুমি’ ও ভারতীয় সিনেমা ‘শিব রাত্রী’। এগুলো সেন্সর হয়ে গেছে, সময় সুযোগ বুঝে হয়তো মুক্তি পাবে বলে জানান অভিনেত্রী।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।