মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও দুরারোগ্য রোগীদের আর্থিক সহায়তা দিলো ‘পিএনআরএফআর’

দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত একাধিক রোগী, অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও অর্থ সহায়তা প্রদান করলো প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিএনআরএফআর) ট্রাস্ট। একই সঙ্গে বাতব্যথার রোগীদের নিয়ে গড়া এই সংগঠনের পক্ষ থেকে যাত্রা শুরুর নবম বছরে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন পিএনআরএফআরের সদস্য, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অনুদানগ্রহিতা ও চিকিৎসকগণ।

শুক্রবার ( ১৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে এই বৃত্তি প্রদান ও ইফতারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিএনআরএফআর’র চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনো গ্রুপের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন আহমেদ, জুপিটার অ্যান্ড এলিয়েন ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুকুমার বিশ্বাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. আশরাফুজ্জামান আফরোজ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা মনজুর সাকলায়েন, পিএনআরএফআর’র সেক্রেটারি জেনারেল ড. পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নীরা ফেরদৌস, ডেপুটি সেক্রেটারি ডা. বর্ষা ইসলাম, সামিউল হক, জোবায়ের আহমেদ প্রমুখ। ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

আয়োজকরা জানান, প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিএনআরএফআর) ট্রাস্ট একটি অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, অলাভজনক ও সেবামূলক সংগঠন। এটি চিকিৎসক ও রোগীদের সমন্বিত একটি প্রতিষ্ঠান।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই ট্রাস্ট শুরু থেকেই চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি সামাজিক নানা কর্মসূচি পালন আসছে। বাতরোগীদের চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি বিভিন্ন দূরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের এককালীন চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন শিক্ষা বৃত্তি দিচ্ছে।
তিনি আরো জানান, উত্তরাঞ্চলে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রদান, বন্যার্তদের জন্য পূনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য হুইল চেয়ার প্রদান, ধর্মীয় উপাসনালয় মেরামতে অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে। আগামীতে এই ধরণের সামাজিক কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাই করা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের ২১জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি, ক্যান্সারে আক্রান্ত একজনকে ৫০ হাজার টাকা, নাটোরের একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য এককালিন ২ লাখ টাকার চেক এবং একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম হওয়া নিম্নআয়ের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
পিএনআরএফআর’র চেয়ারম্যান জানান, যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে তার পুরোটাই বহন করেছেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বৃত্তিপ্রদান কমিটির আহ্বায়ক এস এম আমিনুর রহমান সাব্বির।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সমাজের বিত্তবান মানুষরা এভাবে এগিয়ে এলে আরও বেশি সামাজিক কাজ করা সম্ভব হবে। এতে উপকৃত হবেন সমাজের অসহায় ও বিপদগ্রস্ত মানুষ।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।