স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সব সময় আমাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আমরা একদিকে যেমন শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারি, তেমনি অন্যদিকে বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হই। আজকালকার দ্রুত জীবনযাপনের ফলে অনেকেই সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন না। তবে, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম জীবনযাত্রার গুণগত মান বাড়াতে এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

প্রথমত, একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সুষম খাবারের মধ্যে শাকসবজি, ফলমূল, প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের সঠিক ভারসাম্য থাকা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়া উচিত, কারণ এগুলোতে ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একইভাবে, প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাছ, মাংস, ডাল, ডিম ইত্যাদি খাবার শরীরে শক্তি ও পেশির গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

অপরদিকে, ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত তেল, মাখন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার ফলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই, সুষম খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে সুস্বাদু হলেও অতিরিক্ত ফ্যাট বা চিনি পরিহার করা উচিত।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করাও অত্যন্ত জরুরি। আমাদের শরীরের প্রায় ৭০% পানি দিয়ে গঠিত, এবং পানি শরীরের প্রতিটি কোষে পুষ্টি পৌঁছাতে সহায়তা করে। এটি কোষের কার্যকারিতা বজায় রাখে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। তাই প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

অবশ্যই, শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়ামও অপরিহার্য। যোগব্যায়াম, হাঁটা, সাঁতার কাটা, দৌড়ানো ইত্যাদি শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের পেশি এবং হাড়কে শক্তিশালী করে। পাশাপাশি, ব্যায়াম মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী, কারণ এটি মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও নিশ্চিত করে।

আজকালকার যুগে সুস্থ জীবনযাত্রার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি রাতে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো শরীর এবং মস্তিষ্কের পুনরুজ্জীবন ঘটায়। যদি ঘুমের অভাব হয়, তবে তা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সবশেষে, একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি এবং ঘুমের সঙ্গে মানসিক শান্তিও গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে সুস্থতা এবং আনন্দ বজায় রাখতে এই বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।