বাঙালির অতিথি আপ্যায়ন — পেট নয়, প্রেস্টিজ!

মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
বাঙালির জীবনে দুটো জিনিস সবসময় প্রথম সারিতে থাকে— খাবার আর অতিথি আপ্যায়ন। এমনকি যদি ঘরে চাল না থাকে, তবু অতিথি এলে এমন আপ্যায়ন চলবে যেন নাসার বিজ্ঞানী এসেছে রকেট নিয়ে!

একবার এক আত্মীয় এলেন আমাদের বাসায়। মা বললেন, “চাল নেই, ডাল নেই— সমস্যা নেই, অতিথির সামনে সব থাকবে।” আমি ভাবলাম, মা কী যাদুকর?

অতিথি এলেন, মা তাকে প্লেটে দিলেন ভুনা খিচুড়ি, রোস্ট, ডিম, দই, চাটনি। আমি পাশে বসে ভাবছি— “এই সব কই থেকে এলো?” মা ফিসফিস করে বললেন, “তোদের দুপুরের জন্য যা রান্না করছিলাম, সব দিয়ে দিলাম।” আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তাহলে আমরা?” মা হেসে বললেন, “আমরা তো এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা!”

🍽️ খাবারের প্রতিযোগিতা
বাঙালি বাড়িতে অতিথি এলেই চলে একপ্রকার অলিম্পিক। কে কত আইটেম রান্না করতে পারে!

১ আইটেম: দরিদ্র

৩ আইটেম: মধ্যবিত্ত

৭ আইটেম: প্রেস্টিজ রক্ষা

১০+ আইটেম: বিয়ে ভাবা যেতে পারে!

আর অতিথি যদি একটু কম খায়, তাহলে গৃহিণীর মুখ চুপসে যায়।
– “কি রে ভাই, খাচ্ছ না কেন?”
– “না আপা, অনেক খেয়েছি।”
– “তুমি খাচ্ছ না দেখে মনে হচ্ছে, আমরা অভুক্ত রাখছি!”

🛌 অতিথি মানে আল্লাহর রহমত?
একটা সময় বলা হতো, “অতিথি মানে আল্লাহর রহমত।” এখন অনেকেই ভাবে, “অতিথি মানেই ইন্টারনেটের বিপদ।” কেননা, তারা এলে WiFi-এর পাসওয়ার্ড জানতে চায়, মোবাইল চার্জ করতে চায়, এমনকি Netflix দেখতে চায়!

আমাদের বাসায় এক মেহমান এসেছিল ৩ দিনের জন্য। আমি তার জন্য বিছানা দিলাম, খাবার দিলাম, TV-এর রিমোট দিলাম— কিন্তু সে আমার মোবাইল চার্জার চুরি করে নিয়ে গেল।

😂 অতিথির মুখে প্রশংসা
সবচেয়ে হাস্যকর ব্যাপার, অতিথিরা সবসময় প্রশংসা করে— কিন্তু খায় অর্ধেক!
“ওরে ভাই, এমন খিচুড়ি জীবনে খাইনি।”
আমি বললাম, “আর খান।”
সে বলল, “না না, আমি ডায়েটে আছি।”

তাহলে বললেন কেন? প্রশংসা করে ক্ষুধা না মেটালে কি গৃহিণীর মন ভরে?

🎉 উপসংহার
অতিথি আপ্যায়ন বাঙালির হৃদয়ের এক অমূল্য ঐতিহ্য। তবে খাবারের চেয়ে সম্পর্কটুকু বেশি মূল্যবান। একদিন শুধু এক কাপ চা দিয়েই যদি কেউ ভালোবাসা পায়, তাও তো কম নয়। তবে হ্যাঁ, চায়ের সাথে বিস্কুট না থাকলে মন খারাপ হবেই!

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।