সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে বান্দরবানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মতবিনিময় সভা 

 

বান্দরবান প্রতিনিধ

সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও সমন্ধয় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা সংগঠকদের সাথে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও পার্বত্য অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

১জুন রবিবার দুপুরে বান্দরবান প্রেসক্লাবের হলরুমে জাতীয় নাগরিক পার্টি বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

এসময় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক, দক্ষিণাঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক নিদের্শনা দেন এবং বলেন, আগামীতে দেশের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় নাগরিক পাটি। সারাদেশে জাতীয় নাগরিক পাটির সদস্য সংগ্রহ চলছে আর যোগ্য ব্যক্তিদের এই সংগঠনে কাজ করার জন্য যুক্ত করা হচ্ছে। এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক, দক্ষিণাঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (সংক্ষেপে এনসিপি) হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল।

 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে দেশে নতুন স্বাধীনতা এসেছে আর দেশ থেকে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। এসময় তিনি সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় নাগরিক পাটির কার্যক্রম তরান্বিত করার আহবান জানান।

 

খুব দ্রুত সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির বান্দরবানের সমন্ধয় কমিটি গঠন করা হবে আর বিশাল জনসমাবেশ এর মাধ্যমে এর ব্যাপ্তি আরও জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক, দক্ষিণাঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চল এর তত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ আশাবাদ্য ব্যক্ত করেন।

 

এসময় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক এইচ এম আমান উল্লাহ, সংগঠক মিজানুর রহমান আকন্দ, শহিদুর রহমান সোহেল, আ.হ.ম সায়েমসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় ও বান্দরবানের বিভিন্ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।