কোষ্ঠকাঠিন্যতায় ভুগছেন? দুই ফলেই পাবেন সহজ সমাধান

জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদিও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নানা পদ্ধতি রয়েছে তবে সহজ ও কার্যকরী এই উপায় অনুসরণ করলে অর্থাৎ এই দুই ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হওয়া নিশ্চিত ।

কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়:
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা, যেখানে মলত্যাগ অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এতে মল কঠিন ও শক্ত হয়ে যেতে পারে, পাশাপাশি পেটের ব্যথাও হতে পারে। এটি মূলত খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত জীবনযাত্রা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিংবা আগে থেকেই বিদ্যমান শারীরিক সমস্যার কারণেও হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ ঘরোয়া উপায় গ্রহণ করলে এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার।

১. শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন শরীরচর্চা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে অন্ত্রের গতিশীলতা স্বাভাবিক থাকে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করা উচিত। অনিয়মিত মলত্যাগের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে হালকা ব্যায়াম করুন। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
২. পানি পান
যথেষ্ট পানি পান করুন শরীরে পানিস্বল্পতা থাকলে মল কঠিন হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। পানি ছাড়াও ফল ও সবজির রস, পরিষ্কার স্যুপ ইত্যাদিও খাওয়া যেতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক থাকে এবং মল নরম থাকে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ।

৩. ফল
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে কার্যকরী। খাদ্যতালিকায় ডাল, শস্যজাতীয় খাবার, সবুজ শাকসবজি ও ফল যুক্ত করা উচিত। তবে শরীরকে ফাইবার হজমের জন্য ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করতে হবে, নাহলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
*পেয়ারা
পেয়ারা খান পেয়ারা, যা আমরুদ নামেও পরিচিত, এটি হজমের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা প্রাকৃতিক রেচক (laxative) গুণাবলী মলত্যাগ সহজ করতে সহায়তা করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে অন্ত্রের গতি স্বাভাবিক থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
*খেজুর
খেজুর খান খেজুর হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কার্যকরী। প্রতিদিন সকালে ৫-৬টি খেজুরের সঙ্গে ঘি ও গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে খেলে এবং পরে কুসুম গরম জল পান করলে হজমশক্তি বাড়বে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমবে।

এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং সহজেই বাড়িতে প্রয়োগ করা সম্ভব। তবে যদি

সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।