
সাতকানিয়া চট্টগ্রাম: কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন ভাই মিলে তাদের আপন ভাই মো. আলমগীর (৩৫)-কে নিজ বাড়ি থেকে বের করে রড, হাতুড়ি এবং কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কেরানিহাট আশরাফাহ হাসপাতাল ভক্তি করা হয় পরে অবস্থা অসংখ্য জনক দেখে ডাঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের সময় সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আফজলনগর হাসমত দোকানের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
আহত: মো. আলমগীর (৩৫), পিতা: মৃত কাসেম সওদাগর। ছেলে
আক্রমণকারীরা:
মনজুর আলম (২৯)
মোহাম্মদ জহির (৩২)
ফরিদুল আলম (৩৫)
এরা সকলেই আহত আলমগীরের ভাই কাশেম সওদাগরের ছেলে বলে জানা গেছে)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমগীরের কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।আজ জুমার নামাজের সময় এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগে অভিযুক্ত তিন ভাই তাদের ভাই আলমগীরকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে নিয়ে আসে। এরপর রড, হাতুড়ি ও কাঠের লাঠি দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাতে আলমগীরের দুই হাঁটু থেঁতলে যায় তার প্রত্যেকটা শরীরের অংশতে জম হয়ে যায় এবং তিনি রক্তাক্ত হন।
আলমগীরের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তিন ভাই মিলে তাকে মারতে মারতে তার পরনের লুঙ্গি পর্যন্ত খুলে ফেলে। এবং তার স্ত্রীকে রান্নাঘরে আটকে রেখে। ঘটনার সময়
এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে উদ্ধার
মারধরের সময় আলমগীরের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আক্রমণকারীদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত তাকে কেরানিহাট আশরাফাহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ,তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।
লুটপাটের অভিযোগ
আহত আলমগীরের স্ত্রীর অভিযোগ অনুযায়ী, মারধরের সময় অভিযুক্ত তিন ভাই তাদের বাড়ি থেকে নিম্নলিখিত জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে:
আইফোন একটা অন্যান্য মোবাইল ফোন একটা
নগদ প্রায় তিন লক্ষ টাকা
*৭/৮ ভরি স্বর্ণ
রিয়াল (বিদেশি মুদ্রা) 5000 রিয়াল
পুলিশের বক্তব্য
ঘটনার খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার (এসআই) মোহাম্মদ বেলাল ঘটনাস্থল এসে আফজলনগর হাসমত দোকানে আসেন। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখেন সব ঘটনা সত্যি মুঠোফোনে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরেজমিনে এসে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।