মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
কোরবানির মূল শিক্ষা হলো আত্মত্যাগ ও আনুগত্য। এটি শুরু হয়েছে হযরত ইবরাহিম (আ.) এর সেই ঐতিহাসিক ঘটনার মাধ্যমে, যখন তিনি আল্লাহর নির্দেশে নিজ সন্তান ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি দিতে প্রস্তুত হয়েছিলেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত:
“তখন আমি তাকে একটি বড় কোরবানির মাধ্যমে মুক্তি দিলাম।”
— (সূরা আস-সাফফাত: ১০৭)
এই আয়াত দ্বারা প্রতিভাত হয়, কোরবানি কোনো পশু জবাইয়ের নামমাত্র কাজ নয়, বরং এটি একটি আত্মিক ইবাদত। কোরবানি আমাদের শিখায়, আমরা যেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু ত্যাগে প্রস্তুত থাকি।
হাদীসে এসেছে:
“ইবরাহিম (আ.) ছিলেন একা, কিন্তু আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্য ছিল পরিপূর্ণ। আমরা তাকে অনুসরণ করি।”
— (সহীহ মুসলিম)
ফেকাহ মতে:
ইমাম আবু হানিফার মতে, সামর্থ্যবান ব্যক্তির জন্য কোরবানি ওয়াজিব। অন্য ইমামদের মতে এটি সুন্নাতে মুআক্কাদা। তবে সব মাযহাবেই একমত যে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।