চকরিয়ায় লোহা কেটে ১০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ভোররাতে বাড়ির জানালার লোহা কেটে ভেতরে ঢুকে তিন ভাইয়ের একান্নবর্তী পরিবারের সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে দুর্ধর্ষ ডাকাতদল। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করে নেয় তিন ভাইয়ের বাড়ির আলমারিতে থাকা অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ আড়াই লাখ টাকা ও বাড়ির বাইরে ও ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেয় এবং নিয়ে যায় ডিভিআর সেটও।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের মাদরাসা পাড়ার একান্নবর্তী পরিবারের তিন ভাই ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন ও হেলাল উদ্দিন এবং ইঞ্জিনিয়ার মৌলভী জালাল উদ্দিনের বাড়িতে এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে।

ডাকাতের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে দিশাহারা ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার মৌলভী জালাল উদ্দিন জানান- তাদের বাড়ির বাইরে চারিদিকে এবং ভেতরে সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে ১০-১২ সদস্যের মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র ডাকাতদলটি তাদের বাড়িতে হানা দেয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরার কারণে তারা বাড়ির একটি রুমের জানালার লোহা কেটে ভেতরে ঢুকে পড়ে ৪-৫ জন ডাকাত। এ সময় নারী-শিশুসহ পরিবার সদস্যদের ঘুম ভেঙে গেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মির পর একটি রুমে চলে যেতে বাধ্য করে।

এরপর ডাকাতদলের সদস্যরা তিন ভাইয়ের রুমে থাকা আলমারির চাবি নিয়ে খুলে অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণ, নগদ আড়াই লাখ টাকা, তিনটি এনড্রয়েড মোবাইলসহ দামি মালামাল লুট করে।

ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার জালাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে কেন সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছি, তা জানতে চেয়ে ডাকাতদলের এক সদস্য আমাকে একটা চড় মারেন। তবে পরিবারের অন্য সদস্যদের গায়ে হাত তুলেনি ডাকাতেরা। এ সময় তারা নির্বিঘ্নে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় পুলিশ অকুস্থল থেকে ডাকাতির বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।

ওই বাড়িতে যাওয়া চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব সাকিব দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ডাকাত কবলিত বাড়ির সদস্যরা বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় এসে বিষয়টি জানানোর পর ওসির নির্দেশে ওই বাড়ি পরিদর্শন করেছি। এ সময় ডাকাতি হওয়ার তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।’

এসআই সোহরাব সাকিব আরও বলেন, ‘পরিদর্শনসহ সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে ওসিকে অবহিত করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মৌখিক অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে ডাকাতির ঘটনায় মামলা রুজু করা হবে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তসহ তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে।’

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।