চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ২

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ২

 অনলাইন ডেস্ক

 ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িতে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তারের করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বান্দরবান সদর উপজেলার সিকদার পাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান।

ওই দু’জন হলেন- কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)।

উপ-কমিশনার মাহবুব বলেন, ঘটনাস্থলের আশেপাশে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে তিন হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ভোরে বান্দরবানের সিকদার পাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুইজন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সঙ্গে থাকা অপরজনকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।

গত ৪ ডিসেম্বর সকালে আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকায় মোটরসাইকেলে করে এসে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফীনকে বহনকারী প্রাইভেটকারে চাপাতি দিয়ে হামলা করে কয়েকজন।

সেদিন রাতেই তিনজনকে আসামি করে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, নির্দেশদাতা ব্যক্তিকেও আমরা শনাক্ত করেছি। তবে অভিযানের স্বার্থে নির্দেশদাতা ব্যক্তির নাম প্রকাশ করছি না।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, পূর্ব-পরিকল্পনা অনুসারে মোটরসাইকেলে করে আসা তিন যুবক কাস্টমস কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়িটি গতিরোধ করে। সেসময় গ্রেপ্তার সুজন চাপাতি দিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসে আঘাত করে। তখন তাদের দলে থাকা অন্য একজন জোরে জোরে বলতে থাকে ‘গুলি কর, গুলি কর’।

কাস্টমস কর্মকর্তাকে ‘ভয় দেখাতে’ এ পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। হামলার সময় ব্যবহার করা মোটরসাইকেলটি নির্দেশদাতার ব্যক্তির।

ঘটনার পর এনবিআর বলেছে, মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য খালাসে বাধা দেওয়া ও রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে নেওয়া উদ্যোগে রুষ্ট ‘একটি পক্ষ’ চট্টগ্রামে দুই কাস্টমস কর্মকর্তার ওপর হামলা করে থাকতে পারে।

রাজস্ব ফাঁকি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করায় নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে সংস্থাটি।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।