চিকুনগুনিয়া : ৮ মাসে ১৬ দেশে আক্রান্ত ২ লাখ ৪০ হাজার, মৃত্যু ৯০

চলতি ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত আট মাসে বিশ্বের ১৬টি দেশে মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪০ হাজার জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন অন্তত ৯০ জন।

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়েনের (ইইউ) রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে এ তথ্য।

আট মাসে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শিকার হওয়া ৯০ জনের অধিকাংশই দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের। আক্রান্তের হিসেবেও শীর্ষে আছে ব্রাজিল। ইসিডিসির তথ্য অনুসারে, ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৩ জন।

ব্রাজিল ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের আরও ৩টি দেশে দেখা দিয়েছে চিকনগুনিয়ার প্রকোপ। এই দেশগুলো হলো— বলিভিয়া (আক্রান্ত ৪ হাজার ৭২১), আর্জেন্টিনা (আক্রান্ত ২ হাজার ৮৭৬) এবং পেরু (আক্রান্ত ৫৫)।

এছাড়া ৮ দেশ ও স্বায়ত্বশাসিত ভূখণ্ডেও এই সময়সীমায় চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এই দেশগুলো হলো চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান, তাইওয়ান এবং হংকং। আক্রান্ত রোগীর হিসেবে এশিয়ায় শীর্ষে আছে চীন। গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত চীনে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার জন।

ইসিডিসির তথ্য অনুসারে, আফ্রিকা মহাদেশের চার দেশেও হানা দিয়েছে চিকুনগুনিয়া। এই দেশগুলো হলো সেনেগাল, কেনিয়া, মাদাগাস্কার এবং সেশেলস।

ডেঙ্গুর মতো চিকুনগুনিয়াও একটি মশাবাহিত রোগ। এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস মশা এই রোগের বাহক। এই জাতের মশাগুলো সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায় এবং পরিষ্কার পানিতে জন্মায়।

তীব্র জ্বর, অস্থিসন্ধিতে মারাত্মক ব্যথা (বিশেষ করে হাত, পা, এবং পিঠে), মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, দুর্বলতা, এবং শরীরে ফুসকুড়ি চিকুনগুনিয়ার প্রধান উপসর্গ।কিছু ক্ষেত্রে, বমি বমি ভাব, বমি, এবং পেটে ব্যথাও হতে পারে। চিকুনগুনিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো তীব্র জয়েন্টে ব্যথা, যা কয়েক সপ্তাহ বা মাস এমনকি বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।