জাহাঙ্গীর গেট অবরোধ করে রাখেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হারানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দুই ঘণ্টা জাহাঙ্গীর গেট অবরোধের পর সড়ক ছেড়েন। গতকাল রোববার সকাল আটটায় রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেটের সামনে তিন দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর গেটের সামনে বসে পড়েন সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা। এতে ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও, বিজয় সরণিসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ। তাছাড়া বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য যারা ওই সড়ক দিয়ে রওনা হয়েছিলেন তারাও যানজটে আটকা পড়েন।

এদিকে আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ঊধ্বর্তনদের বৈঠক হয়। এরপরই দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন। এতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন কাজে জড়িত হওয়ার অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘সহযোদ্ধা’র ব্যানারে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল তিনটি দাবি। দাবিগুলো হলো-চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে। যদি কোনো সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে। যেসব আইনি কাঠামো ও একতরফা বিচারব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচারব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে একটি পর্ষদ গঠন করে দাবিগুলোর বিষয়ে আলাপ-আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলেন জানিয়েছেন ‘সহযোদ্ধা’র প্রধান সমন্বয়ক নাঈমুল ইসলাম। গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, বৈঠক আমরা আশ্বাস পেয়েছি। এরপরই বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়েছেন।
ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের এডিসি তানিয়া সুলতানা বলেন, জাহাঙ্গীর গেইট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় চারপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যান্য সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা করা হয়। ২ ঘন্টা পার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।