মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় ফরিদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সাঈদ ও অর্থ ঋণ আদালতের বিচারক এ কে এম রফিকুল হাসানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংক ফরিদপুরের বোয়ালমারী শাখার ব্যবস্থাপককেও তলব করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ৬ মার্চ তাদের সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন এতিম শিশু সন্তানের মা পপি খাতুনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আদালতে ওই নারীর পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। আসামিপক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী শাহ আলম সরকার ও আইনজীবী তপতী দাস।
এ বিষয়ে তপতী দাস সাংবাদিকদের জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি জামিন আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত পপি খাতুনকে জামিন দিয়েছেন। একই সঙ্গে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূতভাবে আদেশ দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই বিচারককে তলব করেছেন।
তিনি জানান, ‘মৃত স্বামীর ঋণের দায়ে স্ত্রী কারাগারে, মামলার আসামি এতিম তিন শিশু সন্তান ঘুরছে দ্বারে দ্বারে’, শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদনটি করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরের পোল্ট্রি মুরগি ব্যবসায়ী মৃত আমিন শেখ ও পপি খাতুন দম্পতির তিন শিশু সন্তান আইরিন (১০), আহমাদুল্লাহ (৫) ও জানাতুন নাঈমা (৪)।