মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:
ইসলাম শুধু ইবাদতের জন্যই রোযার বিধান দেয়নি, বরং এতে রয়েছে অসংখ্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক উপকারিতা। আধুনিক বিজ্ঞানও প্রমাণ করেছে যে, রোযা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রোযার শারীরিক উপকারিতা (বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে)
১. শরীরের ডিটক্সিফিকেশন (Toxin Removal):
দীর্ঘসময় খাবার না খাওয়ার ফলে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর হয়, যা লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়।
ওজন কমাতে সহায়তা:
রোযার সময় শরীর সঞ্চিত চর্বি পোড়ায়, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি:
গবেষণায় দেখা গেছে, রোযা টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে:
দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায়, যা পরবর্তীতে হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
রোযার মানসিক উপকারিতা
মানসিক চাপ কমায়:
রোযার সময় মানসিক প্রশান্তি বাড়ে এবং স্ট্রেস কমে যায়।
ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি করে:
ক্ষুধা ও পিপাসার সংযমের মাধ্যমে মানুষ ধৈর্যশীল হয়, যা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
মেমোরি এবং ব্রেন ফাংশন উন্নত করে:
রোযার সময় ব্রেন নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (BDNF) বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে।
রোযার আত্মিক উপকারিতা
আল্লাহর নৈকট্য লাভ:
রোযা রাখার মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে।
তাকওয়া বৃদ্ধি:
পাপ থেকে বিরত থাকার প্রবণতা বাড়ে এবং আল্লাহভীতি বৃদ্ধি পায়।
সংযম ও ধৈর্যশীলতা:
রোযা আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য শেখায়, যা ব্যক্তির চরিত্র গঠনে সহায়ক হয়।