লেখক থেকে সুপারমডেল, একনজরে ইলন মাস্কের মা

শীর্ষ ধনী এলন মাস্কের মা মায়ে মাস্ক সম্প্রতি ৭৭তম জন্মদিন পালন করলেন। তবে শুধু বিলিয়নিয়ারের মা হিসেবেই নয়, তিনি নিজে একজন সফল লেখক ও আন্তর্জাতিক মডেল। এবার প্রকাশ পেল তাঁর আত্মজীবনীর হিন্দি অনুবাদ ‘যাব অওরাত সোচতি হ্যায়’ যা মূল ইংরেজি বই – ‘এ ওম্যান মেকস এ প্ল্যান’ এর অনুবাদ।

১৫ বছর বয়সেই মডেলিং শুরু
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন মায়ে।

৬০ পেরিয়ে টাইমস স্কোয়ারে চারটি বিলবোর্ডে দেখা গেছে তাঁকে। ভোগ, মেরি ক্ল্যাইরি, এলে-এর মতো আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের কভারেও ছিলেন তিনি। ৭০ এর পরেও তিনি ডিওর বিউটি এর অ্যাম্বাসেডর ছিলেন এবং চার বছর ধরে কভারগার্ল-এর সঙ্গে কাজ করেন। এই কারণেই তাঁকে অনেকে সুপারমডেল বলেন।

বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত লেখক
তাঁর আত্মজীবনী এখন পর্যন্ত ৩১টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হিন্দি, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানিজ ইত্যাদি। বইটিতে তাঁর কর্মজীবন, পরিবার, স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তিনি। এটি এখন ১০০টিরও বেশি দেশে পাওয়া যাচ্ছে।
দুইটি মাস্টার্স ডিগ্রি ও পিএইচডি
৩৪ বছর বয়সে একটি হাসপাতালে ডায়েট সংক্রান্ত ইন্টার্নশিপ করেন তিনি। তখন তিনি একটি স্কলারশিপ পান এবং সেখান থেকেই প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ৪১ বছর বয়সে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে নিউট্রিশনাল সায়েন্সে দ্বিতীয় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ডায়েটেটিকসে পিএইচডি ডিগ্রি পান।

একমাত্র ডায়েটিশিয়ান যিনি তিনবার পরীক্ষা দিয়েছেন
তিনি তিনটি ভিন্ন রেজিস্ট্রেশন পরীক্ষায় অংশ নেন।
একবার আফ্রিকার ভাষায়, একবার মেট্রিক ও একবার ইমপেরিয়াল মেজারমেন্টে। তিনটি পরীক্ষাতেই তিনি প্রথম বারে পাস করেন।

বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সচেতনতায়
মায়ে মাস্ক বিশ্বের নানা দেশে (মেলবোর্ন, কিয়েভ, বুদাপেস্ট, বৈরুত, কান ও স্টকহোম) স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। তাঁর বই প্রকাশের পর তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্যবসা কিভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা নিয়ে তিনি তাদের সাহায্য করে থাকেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার কনসালটিং ডায়েটিশিয়ানদের প্রথম প্রতিনিধি হন।

মায়ে মাস্কের গল্প আমাদের শেখায় যে বয়স কখনও সীমাবদ্ধতা নয়। ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বয়সে নতুন কিছু শুরু করা যায়।