লোহাগাড়ায় জুয়া খেলার আসরে পুলিশের হানা, আটক অর্ধডজন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার আসর থেকে ৬ জুয়াড়িকে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত পোনে ৩ টার সময় হারুনর রশিদ রাসুর মালিকানাধীন গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মজিদের পাড়ার মৃত খায়ের আহমদের পুত্র জসিম (৪৫), চুনতি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আদর্শ পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র এনামুল হক (৩৩), একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নলবুনিয়া এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ হাফেজ (৪৫), কলাউজান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আদার চর এলাকার চিত্ত রঞ্জন সিকদারের পুত্র প্রমিদ কান্তি সিকদার (৫০), লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড জমিদার পাড়ার মৃত সিকান্দর আলীর পুত্র হারুনর রশি দ(৬৩) ও উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মিরিখিল এলাকার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছের পুত্র মোহাম্মদ আলম (২৩)। পেশায় তারা সকলেই গাড়ি চালক। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম- ১ শত ১৫ পিচ তাস ও ৬ হাজার ১শত টাকা উদ্ধার করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমানের নির্দেশনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার আধুনগর প্যারাগন কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে ড্রাম ট্রাক গ্যারেজ এলাকায় মৎস্যজীবী লীগ নেতা হারুনর রশিদ রাসুর’র মালিকানাধীন গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৬ জুয়াড়িকে আটক করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। লোহাগাড়ার যে কোন এলাকায় রাত বারোটার পরে আড্ডারত কাউকে পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে, বারোটার পর কোন টার্ফের বাতি জ্বালানো যাবেনা।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।