চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পের কাজ চলমান। প্রায় ৯০০ একর জমিতে অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রকল্পের উদ্দেশ্য। নানান জটিলতায় প্রকল্পটি নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
২০২০ সালের ১১ জুন ভারত সরকার তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য নীতিগতভাবে ১১৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করে। সে সময় বিধান ছিল এ কাজে শুধু ভারতীয় ঠিকাদার অংশগ্রহণ করতে পারবে। দেরিতে হলেও এই বিধান বা নীতির পরিবর্তন করতে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও প্রকল্পের কাজে অংশ নিতে পারার বিধান চায় বাংলাদেশ। তবে এখনো ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নানান ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছে। কাজ বাস্তবায়নে ভারতীয় ঠিকাদার মিলছে না। এজন্য আমরা চাচ্ছি ভারতের পাশাপাশি যেন দেশীয় ঠিকাদার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে।- প্রকল্প পরিচালক মো. মোখলেসুর রহমান
প্রকল্পটির পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোখলেসুর রহমান জাগো নিউজকে চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের ৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পের বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
ভারতীয় দুই ঠিকাদারের অপারগতা প্রকাশ
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজের জন্য প্রাক-যোগ্যতাসম্পন্ন দুই ভারতীয় ঠিকাদার— আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড এবং ইন্টারন্যাশনাল সিপোর্ট ড্রেজিং প্রাইভেট লিমিটেডের অনুকূলে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু দরপত্র দলিল কেনার প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে উভয় ভারতীয় ঠিকাদার দরপত্র দাখিলে অপারগতা প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজের জন্য পুনঃদরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজন পড়ে।