সাতকানিয়া থানা চট্টগ্রাম দেশীয় অস্ত্রের উদ্ধার

প্রেস রিলিজ

তারিখ-১৬/০৯/২০২৫ইং

সাতকানিয়া থানা, চট্টগ্রাম।

বিষয়ঃ উদ্ধার- ক) ০১(এক) টি একনলা দেশীয় তৈরী কাঠের বাটযুক্ত পুরাতন একনালা বন্দুক যাহাতে ট্রিগার সংযুক্ত, যাহা কাঠের বাটসহ লম্বা ২৭ ইঞ্চি, খ) ০১(এক) টি সাদা কার্তুজ যাহার পার্কিউশন ক্যাপে আঘাতের চিহ্ন আছে, যাহার একপাশে ইংরেজিতে 12 RC 12 ITALY লেখা আছে ।

 

চট্টগ্রাম জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব সাইফুল ইসলাম সানতু মহোদয় এর নির্দেশনায় সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ জাহেদুল ইসলাম এর নেতৃত্তে এসআই/ মোঃ বেলাল হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ১৭/০৯/২০২৫ইং তারিখ রাত অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় এজাহারে বর্ণিত বিবাদীগণ তাহাদের সংগীয় লোকজন দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ অস্ত্রের মহড়ার মাধ্যমে এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করিয়া আসিতেছিল। বাদীর ভাই মোঃ আবু বক্কর সহ এলাকার স্থানীয় লোকজন বিবাদীগণদের উক্তরূপ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় বিবাদীগণ বাদীর ভাই ও এলাকার লোকজনদের সহিত বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং-১৭/০৯/২০২৫ তারিখ, রাত অনুমান ০৮.১৫ ঘটিকার সময় বাদীর ভাই মোঃ আবু বক্কর ইছামতি আলীনগর এলাকা হইতে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে সাতকানিয়া থানাধীন ০৬নং এওচিয়া ইউপির ০৮নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সাকিনের আলী চাঁন পাড়াস্থ বইক্কে বর দোকানের উত্তর পার্শ্বে নতুন ব্রিজের কোণায় পাকা রাস্তার উপর পৌছিলে পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া এজাহারে বর্ণিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন ৪/৫টি মোটরসাইকেল যোগে আসিয়া বাদীর ভাইয়ের পথরোধ করতঃ এলোপাতাড়ীভাবে লাঠিসোটা এবং লোহার রড দিয়া পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেদনা দায়ক নীলাফুলা জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদী আব্দুর রহিম প্রঃ ডালিম (৪০) একটি একনলা বন্দুক দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর ভাইয়ের দিকে তাক করিয়া গুলি করার চেষ্টা করিলে বাদীর ভাই তাকে ঝাপটাইয়া ধরিয়া শোর চিৎকার করিতে থাকে। তৎসময়ে শোর চিৎকার শুনিয়া স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে আব্দুর রহিম প্রঃ ডালিম (৪০) এর সহিত ধস্তাধস্তি করিয়া একনলা বন্দুকটি কাড়িয়া নিলেও ১নং বিবাদী অপরাপর বিবাদীদের সহায়তায় ঘটনাস্থল হইতে মোটর সাইকেল যোগে পালাইয়া যায় বর্ণিত বিষয়ে থানায় সংবাদ প্রদান করা হইলে থানা এলাকায় টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া বাদীর ভাই মোঃ নাসির (৫২), প্রতিবেশী মোঃ আবুল মনছুর, হেফাজত হোসেনগণদের উপস্থাপন করা মতে ১নং বিবাদীর নিকট হইতে কাড়িয়া নেওয়া ০১ (এক) টি দেশীয় তৈরী কাঠের বাটযুক্ত একনলা বন্দুক এবং উক্ত বন্দুকের ভিতরে ০১টি লাল রংয়ের সীসা কার্তুজ লোড অবস্থায় পাইয়া ইং-১৭/০৯/২০২৫ তারিখ ২১.৩০ ঘটিকার সময় জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন। উক্ত বিষয়ে এজাহার নামীয় আসামসহ অজ্ঞাতানামা আসামীদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানার এফআইআর নং-২০, তারিখ- ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫; জি আর নং-১৯৩, ধারা- 19A The Arms Act, 1878; তৎসহ 143/341/323/326/307/506 The Penal Code, 1860; রুজু করা হয়।

 

অভিযুক্ত আসামীগণের নাম-ঠিকানা – ১। আব্দুর রহিম প্রঃ ডালিম (৪০), ২। মোঃ সেলিম (৩৬), ৩। মোঃ কলিম (৩২), সর্বপিতা-মৃত আইয়ুব আলী, মাতা-আনোয়ারা বেগম, ৪। মোঃ আবিদ (২৪), পিতা-আবু হানিফ, মাতা-ছেনোয়ারা বেগম, ৫ মোঃ রাকিব (৩০), পিতা-রুহুল আমিন, মাতা-নাছিমা আক্তার, সাং-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা, নেয়ামত আলী পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, ০৬নং এওচিয়া ইউপি, ৬। মোঃ ইয়াছিন (২৩), পিতা-নুরুল আলম, মাতা-ফাতেমা বেগম, সাং-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা, আব্দুল মেহেদী পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, ০৬নং এওচিয়া ইউপি, ৭। মোঃ টিপু (৩০), পিতা-আব্দুস সাত্তার, মাতা-মিনুয়ারা বেগম, ৮। সাইফুল ইসলাম (২৫), পিতা-জিয়াবুল হক, উভয়সাং-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা, নেয়ামত আলী পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, ০৬নং এওচিয়া ইউপি, সর্বথানা-সাতকানিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচালে ভেতরের বা বাইরের যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় তিনি একথা বলেন। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খবর বাসসের। প্রেস সচিব জানান, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে, নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য ভেতর থেকে, বাইরে থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে। ছোটখাট না, বড় শক্তি নিয়ে বানচালের চেষ্টা করবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে। এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড়ঝঞ্ঝাই আসুক আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মূলত চারটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়– নির্বাচনকালীন পদায়ন, ট্রেনিং, নিরাপত্তা ইস্যু এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসইনফরমেশন মনিটরিং। প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের বিষয়ে এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বিবেচনা করে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় বদলি ও পদায়নের বিষয়ে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। এর পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে এমন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানও শুরু করেছে। কর্মকর্তাদের নিজ জেলা ও নিকটবর্তী জেলা এবং আত্মীয় পরিজনের কেউ প্রার্থী হলে সেসব নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হবে। আগের তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের বিরত রাখা হবে। যত দ্রুত সম্ভব পোস্টিং দিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে যাতে করে তারা পর্যাপ্ত সময় পায় প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ট্রেনিং শুরু করা যায়। শফিকুল আলম জানান, আজকের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিটিংয়ে এআই, ডিস–ইনফরমেশন, মিস–ইনফরমেশন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈঠকের একটা বড় কনসার্ন ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো অপপ্রচার ছড়িয়ে পড়লে সেটা কীভাবে দ্রুত ডিবাঙ্ক করা যাবে তা নিয়ে। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো অপতথ্যকে আইডেন্টিফাই করে সেটা যে অপতথ্য এটা প্রচার করতে গিয়ে অনেক সময় লেগে যায়। সেই সময়ের মধ্যে অনেক ক্ষতিও হয়ে যায়। এজন্য একটি সেন্ট্রাল ডিস–ইনফরমেশন মনিটরিং সেল ও একটি সেন্ট্রাল কমিউকেশন সেল তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুধু শহর অঞ্চল বা জেলা পর্যায়ে না, গ্রাম পর্যায়েও মানুষের কাছে যেন ফ্যাক্টচেকিং তথ্যগুলো পৌঁছাতে পারে সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দিয়েছেন। অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার আসবে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে বাইরে থেকে খুবই পরিকল্পিতভাবে নানারকম অপপ্রচার চালানো হবে। এআই দিয়ে ছবি–ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। এটাকে সামাল দিতেই হবে। একটা অপপ্রচারের সূচনা হওয়া মাত্রই সেটা ঠেকাতে হবে যেন ছড়াতে না পারে। নির্বাচন–কেন্দ্রিক প্রচার–প্রচারণার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ, স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গণি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ, পিএসও লে. জে. কামরুল হাসান, পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, ডিজি র‌্যাব এ কে এম শহিদুর রহমান, ডিজি কোস্টগার্ড রিয়ার এডমিরাল জিয়াউল হক, ডিজি আনসার মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ এবং গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।