স্কুল থেকে ফিরে সৎমায়ের কাছে গিয়েছিল ছোট্ট হাজেরা, বালতিতে মিলল বস্তাবন্দি লাশ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় হাজেরা খাতুন (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার সৎমায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয় রাতের দিকে।

পরে রাত ১০টার দিকে কামারখন্দ থানা পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত হাজেরা খাতুন কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা হারুন অর রশীদ উপজেলার বাসিন্দা।

স্বজনদের বরাতে জানা যায়, স্কুল থেকে ফিরে সৎমায়ের কাছে গিয়েছিল ছোট্ট হাজেরা। এরপরই তাকে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সৎমা। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশুটির কোনো খোঁজ না মেলায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে ঘরের ভেতর একটি বালতির মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় হাজেরার মরদেহ পাওয়া যায়।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মরদেহটি বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি বালতির ভেতর পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ চাপা দিয়ে অথবা গলা টিপে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘কে বা কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত সৎমা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।