২০২৫ সালে যে কাজগুলো জীবনে উন্নতি আনবে

নতুন বছর এসেছে এবং এর সঙ্গে রিফ্রেশ করার সুযোগ এসেছে। শুধু করণীয় তালিকায় নয়, আমাদের জীবনযাপনেও পরিবর্তনের সময় এখন। যদি ২০২৪ একটি রোলারকোস্টার রাইডের মতো মনে হয়, ২০২৫ হলো ধীর হওয়ার, গভীর শ্বাস নেওয়ার এবং সত্যিকারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ফোকাস করার বছর। জেনে নিন সহজ কিন্তু শক্তিশালী বিষয় সম্পর্কে যেগুলো চর্চার মাধ্যমে ২০২৫-এ নিজের উন্নতি করতে পারবেন-
লেট ইট গো
ক্ষোভ ধরে রাখা বা প্রতিটি ছোট জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করার অভ্যাস? এটি ঠিক নয়। নতুন বছরে ছেড়ে দেওয়ার অভ্যাস করুন- অতীতের ভুলগুলো, বিষাক্ত সম্পর্কগুলো এবং এমনকী বছরের পর বছর বয়ে বড়োনো আগের সেই একটি বিব্রতকর মুহূর্তগুলো। আপনার সংবেদনশীল ভার হালকা করুন এবং দেখুন কতটা মুক্ত লাগছে।
সময়ের জন্য অপেক্ষা
আপনি যখন যা চান তখনই জীবনে সবকিছু ঘটবে না। সেটা পদোন্নতি হোক, আপনার জীবনের ভালোবাসা পূরণ হোক বা বড় লক্ষ্য- জীবনের নিজস্ব টাইমলাইন আছে। এখনও যা পাননি তা নিয়ে জোর দেওয়ার পরিবর্তে, বিশ্বাস করুন যে সময় ঠিক হলে জিনিসগুলোও ঠিক হয়ে যাবে। জীবনের চমক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিষ্টি হয়। শুধু মনে রাখবেন, আপনি যখন সময়কে বিশ্বাস করছেন, স্বপ্ন পূরণে কাজ করতে হবে।
নিজের প্রতি সদয় হোন
আমরা সবাই আমাদের নিজেদের কঠিন সমালোচক, তাই না? কিন্তু ২০২৫ সালটা যদি নিজেকে ভালোবাসার বছর হিসেবে বেছে নেন তাহলে কেমন হবে? আপনার প্রিয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেন সেভাবে নিজের সঙ্গে আচরণ করা শুরু করুন। একটি মিটিং মিস? এমনটা হতেই পারে। আপনার সকালের দৌড় বাদ পড়ে গেছে? কোনো চিন্তা নেই। নিজের প্রতি সদয় হোন এবং যখন পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ না হয় তখন তা সহজভাবে নিন। এমনকি ছোট ছোট অর্জনগুলো উদযাপন করুন। নিজেকে ভালোবাসলে অন্যকে ভালোবাসাও সহজ হবে।
মুহূর্তে বেঁচে থাকুন
২০২৫ সালের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান করার চেষ্টা করুন। কফির প্রথম চুমুকটি উপভোগ করুন বা কেবল একটি শান্ত মুহূর্তের সৌন্দর্য উপভোগ করুন। রহস্যটা হলো মননশীলতা। জটিল আচার-অনুষ্ঠানের প্রয়োজন নেই, শুধু বিরতি দিন, শ্বাস নিন এবং আপনার চারপাশের বিশ্বকে লক্ষ্য করুন। এটি আপনাকে মানসিকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী করবে।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।