আজ চার মাস পূর্ণ হচ্ছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে পলায়নের পর গত ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। নানা চ্যালেঞ্জ আর সংকটের মধ্যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের গুরুদায়িত্ব এই সরকারের ওপর। ১০টি সংস্কার কমিশনের রাষ্ট্রের ১০টি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব তৈরির কাজ চলমান।আশা করা হচ্ছে, চলতি মাসেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার হাতে পৌঁছাবে। তথ্যপ্রবাহে আগের মতো বাধা নেই। তবে দেশে কবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো অস্পষ্ট। রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের মুখেও সরকার এ বিষয়ে পথনকশা ঘোষণা করেনি।
গত ২৫ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতের আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয়; যদিও এই হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তারপরও চলছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী দলগুলোর আগ্রাসী প্রতিক্রিয়া।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক কাতারে দাঁড়িয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো। দেশের অস্তিত্ব রক্ষা এবং অপপ্রচার ও আগ্রাসন ঠেকাতে দলগুলো সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে এমন অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ওই বৈঠকের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ‘মুক্ত স্বাধীন নতুন বাংলাদেশকে’ মুছে দিতে ‘কল্পকাহিনি’ প্রচার করা হচ্ছে মন্তব্য করে রাজনৈতিক দলগুলোকে তা ঠেকাতে একজোট হওয়ার আহবান জানান।
সুএে কালের কণ্ঠ