অসহায় মানুষের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিল “অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন”

মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রাম, ২৬ জুন ২০২৫:

সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় মানুষের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে “অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন”-এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী নৈশভোজ ও খতমে কোরআন। চট্টগ্রামের অভিজাত ভেন্যু “প্রিন্স অফ চিটাগাং”-এ অনুষ্ঠিত এই মহতী আয়োজনটি যেন পরিণত হয় এক মানবিক মিলনমেলায়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ রাফি এবং হৃদয়ছোঁয়া নাতে রাসুল পরিবেশন করেন মোহাম্মদ শাহারুফ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, বাশার গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও সিইও জনাব আলহাজ্ব আবুল বাশার আবু। তিনি বলেন,

“ঈদের আনন্দ তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যায়। সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ, বিশেষ করে অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিতদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নেওয়াই আমাদের মানবিক দায়িত্ব। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।”

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট জনাব এমরানুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন,

“আপনারা যারা আজ এখানে উপস্থিত হয়েছেন, আপনাদের সন্তানদের যেন হার মানতে না হয়—এই দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যেন তারা শুধু নিজেরাই এগিয়ে যেতে না পারে, বরং ভবিষ্যতে আরেকজন অসহায় মানুষের আশ্রয় হতে পারে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচএম ওসমান গণি চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের মক্কা শাখার সভাপতি জনাব হারুনুর রশিদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন:

ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মঞ্জুর আহমেদ, হালিশহর থানা কমিটির সভাপতি মোসাম্মৎ শাহিনা আক্তার, বন্দর থানা কমিটির সভাপতি আজমিরা বেগম, মহানগর কমিটির সভাপতি শামসুল আলম রানা,  চকবাজার থানা কমিটির সভাপতি ডা. জিন্নাতুর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল হান্নান হীরা, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ টিটু, রোকসানা পপি,  সমাজসেবক আলহাজ্ব মাইনুদ্দিন, মোহাম্মদ নুর নবী, মানবাধিকারকর্মী মোহাম্মদ আকরাম, মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুস্মিতা সহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে সঞ্চালনা করেন মোসাম্মৎ ফারহানা তুলি। তার সাবলীল উপস্থাপনায় পুরো আয়োজনটি ছিল প্রাণবন্ত ও মননশীল।

অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডিটিএম (অপা:) মসজিদের সম্মানিত মোয়াজ্জিন হাফেজ মাওলানা আবু বকর। তিনি দেশ, জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করেন।

এই মহতী আয়োজন প্রমাণ করেছে—সত্যিকারের ঈদের আনন্দ কেবল আত্মীয়স্বজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজের অবহেলিত মানুষের মুখেও হাসি ফোটাতে পারলেই তার পরিপূর্ণতা আসে। এমন মানবিক ও উদার উদ্যোগ সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোর জন্য হতে পারে অনুপ্রেরণার বাতিঘর।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।