Search
Close this search box.

আজ পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের দিন

সময়ের সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলা। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাসওয়ার্ডের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। আজ পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের দিন। প্রতি বছর ১লা ফেব্রুয়ারি পালিত হয় ‘চেঞ্জ ইয়োর পাসওয়ার্ড ডে’। ২০১২ সালে দিবসটি চালু করেন ম্যাট বুকানন নামের এক অস্ট্রেলিয়ান লেখক। দু-দুবার পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়ার পর ভদ্রলোক এর নিরাপত্তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে দিনটির প্রচলন করেন।

এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য: এনবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লেখক ম্যাট বুকানন বলেন, আমি মনে করি, যদি আমরা সবাই একসঙ্গে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করি, তাহলে এটি এক ধরনের ইতিবাচক সামাজিক চাপ সৃষ্টি করবে।এই দিনে সব পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। যদিও এটি সহজ মনে হতে পারে, বাস্তবে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

একটি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার অর্থ কেবল কিছু সংখ্যা বা অ্যালফাবেট যুক্ত করা নয়। বরং আরও নিরাপদ এবং কার্যকর পাসওয়ার্ড তৈরি করার বিষয়ে সচেতন হওয়া। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাভাবিক কম্পিউটার এবং সহজলভ্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে পাঁচ ঘণ্টারও কম সময়ে ৮০,০০০-এর বেশি পাসওয়ার্ড ফাঁস করা সম্ভব হয়েছে। সে কারণে নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে জানা যায় সম্প্রতি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ‘নর্ডপাস’ বলছে, টানা দুই বছর বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় পাসওয়ার্ড হলো ‘১২৩৪৫৬’। এই প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত পাসওয়ার্ডের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। নর্ডপাস জানিয়েছে, পাসওয়ার্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষের সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে। আবার অনেক সময় দেখা যায় তারা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব কম দেন। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ছয়বার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করেছে। বেশিরভাগ সময় সহজ পাসওয়ার্ড যেমন ‘১২৩৪৫৬’ (123456), কিউডব্লিউইআরটিওয়াই (qwerty) বা এবিসি (ABC) শীর্ষে ছিল। অন্যদিকে, ২০২২ সালে পাসওয়ার্ড হিসেবে পাসওয়ার্ড (password) শব্দটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল।

নর্ডের মতে, কিছু ব্যক্তি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরির চেষ্টা করে ‘P@ssw0rd’ শব্দটি ব্যবহার করেন, কিন্তু সেটিও হ্যাকার এক সেকেন্ডেরও কম সময় অনুমান করতে পারে। কোম্পানিটি তাদের তালিকা তৈরিতে উন্মুক্ত উৎস থেকে ২ দশমিক ৫ টেরাবাইট ডাটা ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে কিছু মিলেছে ডার্কওয়েব থেকে।