‘আমার পুরুষের চয়েস জঘন্য‍‍’

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল একটি পোস্ট শেয়ার করেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কোনও প্রমোশনাল রীল নয়, চাকচিক্যময় ফটোশ্যুটও নয়। বরং সাধারণ কিছু কথা। খুবই ব্যক্তিগত কয়েকটা লাইন, কিছুটা আবেগপ্রবণ আর বেশ খানিকটা আত্মোপলব্ধি। সেই পোস্টের শেষেই সরল স্বীকারক্তি, ‘আমার পুরূষের চয়েস জঘন্য’

ভালোবাসা যেন এক অদ্ভুত ট্র্যাজেডি ফারিয়ার জীবনে । কখনো বাচাল, আত্মমুগ্ধ, স্বার্থপর পুরুষদের পাশে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন, আবার কখনো আশ্রয় নিয়েছেন শান্ত, গভীর অথচ ভয়াবহভাবে আবেগহীন মানুষদের কাছে।

ভালোবাসার মাঠে বারবার যেন ভুল শটে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। তবুও সেই খেলার প্রতি টান কখনো কমেনি। জীবন তাকে বারবার বুঝিয়েছে, তার খোঁজা সেই মানুষ হয়তো বইয়ের পাতায় আছে, নাটকের পর্দায় আছে, বাস্তবে নেই। তবু ফারিয়া সেই অসম্ভব স্বপ্ন আঁকড়ে রেখেছেন।

একদিন কেউ আসবে, সে তার গল্প শুনবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, সে বাধা দেবে না, ফারিয়ার কথার মাঝখানে কথা বলবে না। হয়তো এমন কাউকে খুঁজতে গিয়েই বারবার ভুল করেছেন ফারিয়া। হয়তো নিজেরই ভাষায়, ‘বিপর্যয়কর’ পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ ছিল তার নিয়তি।

নিজের লেখা দীর্ঘ স্ট্যাটাসটিতে ফারিয়া লিখেছেন, ‘কয়েকটি ব্যর্থ সম্পর্ক আর অসংখ্য মনভাঙার পর বুঝেছি, হয়তো আমি যা খুঁজছিলাম, তার অস্তিত্বই নেই। হয়তো অনেক উপন্যাস পড়েছি, অনেক কোরিয়ান নাটক দেখেছি, যার ফলে নিজের মনের ভেতর এক কাল্পনিক চরিত্র তৈরি করে ফেলেছি।’

তবুও এই রোমান্টিক মেয়ে হাল ছাড়েননি। ভালবাসার জুয়ায় হয়তো বারবার সর্বস্বান্ত হয়েছেন, তবু হাল ছাড়েননি। অপেক্ষা করছেন সেই দিনের, যেদিন কেউ তার গল্প শুনবে নীরবে, বাধা না দিয়ে।

এ যেন নিজের প্রতি এক নির্মল হাসি, আবার এক গভীর আত্মোপলব্ধি। শবনম ফারিয়া জানেন, তার এই ‘খারাপ পছন্দ’ একদিন হয়তো তাকে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছে দেবে, অথবা হয়তো নতুন এক গল্প শুরু করবে, যেখানে ভুলগুলোও একদিন প্রিয় হয়ে উঠবে।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।