খালেদা আক্তার, বোয়ালখালি, চট্টগ্রাম।
আহমেদ হোসেন ভূইয়া — এ নামটি শিক্ষাজগতে এক শ্রদ্ধেয় ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের প্রতিচ্ছবি। তিনি শুধু একজন কলেজ শিক্ষক নন, বরং শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া একজন আলোকবর্তিকা, যিনি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে জ্ঞান, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের বীজ বপন করে যাচ্ছেন অবিচল নিষ্ঠা ও ভালোবাসা নিয়ে।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই দ্বৈত ভূমিকা তাঁকে করে তুলেছে ব্যতিক্রমী ও সম্মানীয়। যেখানে একজন শিক্ষক কেবল পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দিয়ে থাকেন, সেখানে আহমেদ হোসেন ভূইয়া শিক্ষার্থীদের শিখিয়েছেন কিভাবে একজন মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হয়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টে তার সম্পৃক্ততা শুধু একটি দায়িত্ব নয়, এটি ছিল মানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের এক অনন্য উদ্যোগ। দুর্যোগে, বিপদে কিংবা সামাজিক সচেতনতা কার্যক্রমে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন তরুণ প্রজন্মকে নেতৃত্ব দিতে উৎসাহিত করে। তার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমে অংশ নিয়েছে রক্তদান, দুর্যোগ প্রশমন, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সমাজসেবামূলক নানা কর্মকাণ্ডে।
তিনি বিশ্বাস করেন, “মানুষ গড়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো শিক্ষা, আর মানবতা শেখানোর প্রকৃত মঞ্চ হলো সমাজসেবা।” এই বিশ্বাস থেকেই তিনি প্রতিদিন নিজের কর্মে, আচরণে ও দৃষ্টান্তে হয়ে উঠেছেন একটি জীবন্ত পাঠশালা।
তার অবদান শুধু শ্রেণিকক্ষে সীমাবদ্ধ নয়, তিনি সমাজে মানবিক নেতৃত্ব তৈরির এক নীরব কারিগর। ছাত্ররা তাঁকে দেখে শুধু শ্রদ্ধা নয়, ভালবাসায় আবদ্ধ হয় — কারণ তিনি শুধু শিক্ষাদাতা নন, একজন প্রকৃত পথপ্রদর্শক।
সমাজ ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর এই অবদান আমাদের জন্য গর্বের এবং প্রেরণার। আমরা কৃতজ্ঞ এমন একজন আলোকিত মানুষের জন্য, যিনি জ্ঞানের পাশাপাশি হৃদয়ের উষ্ণতাও বিলিয়ে দেন প্রতিদিন।