Search
Close this search box.

আ.লীগ কার্যালয় এখন মাদক-দেহব্যবসার আখড়া

ক্ষমতা হারানোর পর ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত আওয়ামী লীগ দলটির প্রধান কার্যালয়কে ঘিরে উঠেছে নানা অভিযোগ। একসময় যেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় লেগে থাকত, আজ সেই ভবনে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করে পাবলিক টয়লেট হিসেবে ব্যবহার করছে নিচতলা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কার্যালয়ের চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ, এবং উপরের তলাগুলোতে দেখা যাচ্ছে মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের বিচরণ। কেউ কেউ বলছেন, সেখানে চলছে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসা। ভবনের ভেতরে ছোট ছোট ঘরে কাঁথা-বালিশ ও বিছানাসহ থাকার ব্যবস্থাও দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ ভিডিও করতে চাইলে বাধা দেওয়া হচ্ছে, এমনকি অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন মুখ লুকিয়ে।

একজন বলেন, “আগে এখানে ঢুকার সুযোগ ছিল না। ভিআইপি নেতারা আসতেন, সাধারণ মানুষকে ঢুকতে দেওয়া হতো না। এখন রিকশাওয়ালারা প্রস্রাব করে চলে যায়।”

আরেকজন বলেন, “আমার দাদা-বাবা সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আজকের দৃশ্য দেখে কষ্ট লাগে। নেতারা নেই, ভবনের অস্তিত্বই যেন বিলীন।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধু একটি ভবনের পতন নয়, বরং দীর্ঘদিনের একদলীয় আধিপত্যের পর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, হতাশা ও বঞ্চনার একটি প্রতীকী প্রতিফলন। এই ভবনটি একসময় যেভাবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল, এখন তা যেন একটি পরিত্যক্ত পরিসর—যেখানে অনৈতিক কার্যক্রমও ঘটছে বলে অভিযোগ।