ইশরাক সমর্থকদের আন্দোলন ঘিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে চলমান আন্দোলনকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন।

এ সময় সাংবাদিকদেরও ভয়ভীতি দেখানো হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় ঢাকাবাসীর ব্যানারে আন্দোলনকারীরা নগর ভবনে জড়ো হলে তখন এ ঘটনা ঘটে। ইশরাকের অনুসারীরা এ ঘটনার জন্য শ্রমিকদলের একটি পক্ষের নেতা আরিফুজ্জামান প্রিন্স ও তার লোকজনকে দুষছেন। যদিও এ বিষয়ে প্রিন্সের বক্তব্য মেলেনি।

হামলায় আহত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নিত্যদিনের মতো শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের গেটে অবস্থান করলে উশৃঙ্খল বেশকিছু যুবক দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে।

এ হামলায় বেশ কিছু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে মনির, জসীম, মহিদুল, জুয়েল, কাইয়ুম, দিনার, জনিসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে টানা ৩৯ দিন নগর ভবন তালা দিয়ে রেখেছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নেতা আরিফ চৌধুরী ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে নগর ভবনের তালা খুলে দিতে নির্দেশনা দেন ইশরাক হোসেন। পরে সোমবার (২৩ জুন) নগর ভবনের তালা খুলে দেন আরিফ চৌধুরীরা।

কিন্তু প্রশাসক ও প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা নগর ভবনে যেন প্রবেশ করতে না পারেন তাই সোমবারের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে নগর ভবনে অবস্থান নেন আরিফ চৌধুরী ও তার অনুসারীরা।

এ সময় তাদের ধাওয়া দেন শ্রমিক দলের আরেক পক্ষের নেতা আরিফুজ্জামান প্রিন্সের অনুসারীরা। তখন তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ডিএসসিসির শ্রমিক দলের নেতারা জানান, আগে শ্রমিক দলের দুটি পক্ষই বিএনপি নেতা ইশরাকের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু ইশরাকের শপথকে কেন্দ্র করে আরিফুজ্জামান প্রিন্স দূরে সরে যান। তিনি নগর ভবনে তালা দিয়ে নাগরিকদের ভোগান্তির বিরোধিতা করেন। এছাড়া নগর ভবনে শ্রমিক দলের দুই পক্ষের দুটি কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে আরিফুজ্জামান প্রিন্সের কমিটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে। তিনি এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এবং নগর ভবনের কেয়ারটেকার। কিন্তু আরিফ চৌধুরী যে সংগঠনের সভাপতি, তার কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই বলে জানান তারা।

এদিকে এ ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন আন্দোলনকারীদের দেখতে ও তাদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছেন ইশরাক হোসেন।