আসলে এই নিবেদিত খুনিদের কাছে যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা হলো এই খবর যে কাদের মিয়া একজন মুসলমান ছিলেন।
এর পর থেকে অমর্ত্য সেন যখনই গোষ্ঠীভিত্তিক পরিচয়ের আড়ালে প্রায়ই লুকিয়ে থাকা নিষ্ঠুরতার কথা চিন্তা করতেন, তার কাছে সেই বিকেলের স্মৃতি বারবার ফিরে আসত। তিনি ভাবলেন, সাম্প্রদায়িক বিবাদের সময় মানুষকে একমাত্রিকতায় নামিয়ে আনা সহিংসতা উসকানোর উৎ হিসেবে কাজ করতে পারে। গোষ্ঠীভিত্তিক কর্মকাণ্ড একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যকার বন্ধন ও সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে, তা সত্ত্বেও জীবনব্যাপী যদি গোষ্ঠীগত দর্শন নিয়ে সংশয়বাদী হয়ে থাকেন, তার পেছনে কাজ করেছে প্রারম্ভিক অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত গোষ্ঠীভিত্তিক শ্রেণীকরণের অমানবিক দিকটি—যেমন ঘটল ঢাকায় কাদের মিয়ার সঙ্গে। ২০০৬ সালে প্রকাশিত এই বিখ্যাত বইয়ের শিরোনাম—স্বরূপতা এবং সহিংসতা : নিয়তির মোহ (Identity and Violence : The Illusion of Destiny)। বলা বাহুল্য নয় যে বইটি লেখার পেছনে জ্বালানি জুগিয়েছিল সেদিনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-উৎসারিত তার অন্তরের তীব্র জ্বালা—‘আমি অনুভব না করে পারছিলাম না যে আমি একটা ভ্রমণ শেষ করতে যাচ্ছি মাত্র, যেটা শুরু হয়েছিল অনেক দশক আগে কাদের মিয়ার খুনের সেই রক্তভেজা বিকালে।’
দুই.
হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাদের মিয়া কাতরাতে কাতরাতে অমর্ত্য সেনের বাবাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রী অনেক অনুনয়-বিনয় করেছিলেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তিনি যেন শত্রুপক্ষীয় জায়গায় না যান। কিন্তু পরিবারের খাবার নেই বলে বাধ্য হয়ে সামান্য মজুরিতে কাজের সন্ধানে তাকে বের হতে হয়। পরিতাপের বিষয়, সেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অভাবের (Economic unfreedom) শাস্তি হয়ে দাঁড়াল মৃত্যু। যদি পরিবারটি ক্ষুদ্র উপার্জন ছাড়াই চলতে পারত, তাহলে গোলযোগের সময় সামান্য মজুরির জন্য কাদের
অন্যদের এবং নিজেদের একটি একক পরিচয়ে দেখার বিপদ নিয়ে অনেক দশক পর তিনি একটি বই লিখলেন। মিয়ার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না। কাদের অমর্ত্য সেনের মাকেও বলেছিলেন, ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকতে পারেননি বিধায় তাদের জন্য খাবার কিনতে কাজে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
উন্নয়ন হচ্ছে মানবিক মুক্তি প্রসারিত করার প্রক্রিয়া
এর পর থেকে অমর্ত্য সেন যখনই গোষ্ঠীভিত্তিক পরিচয়ের আড়ালে প্রায়ই লুকিয়ে থাকা নিষ্ঠুরতার কথা চিন্তা করতেন, তার কাছে সেই বিকেলের স্মৃতি বারবার ফিরে আসত। তিনি ভাবলেন, সাম্প্রদায়িক বিবাদের সময় মানুষকে একমাত্রিকতায় নামিয়ে আনা সহিংসতা উসকানোর উৎ হিসেবে কাজ করতে পারে। গোষ্ঠীভিত্তিক কর্মকাণ্ড একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যকার বন্ধন ও সংবেদনশীলতা তৈরি করতে পারে, তা সত্ত্বেও জীবনব্যাপী যদি গোষ্ঠীগত দর্শন নিয়ে সংশয়বাদী হয়ে থাকেন, তার পেছনে কাজ করেছে প্রারম্ভিক অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত গোষ্ঠীভিত্তিক শ্রেণীকরণের অমানবিক দিকটি—যেমন ঘটল ঢাকায় কাদের মিয়ার সঙ্গে। ২০০৬ সালে প্রকাশিত এই বিখ্যাত বইয়ের শিরোনাম—স্বরূপতা এবং সহিংসতা : নিয়তির মোহ (Identity and Violence : The Illusion of Destiny)। বলা বাহুল্য নয় যে বইটি লেখার পেছনে জ্বালানি জুগিয়েছিল সেদিনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-উৎসারিত তার অন্তরের তীব্র জ্বালা—‘আমি অনুভব না করে পারছিলাম না যে আমি একটা ভ্রমণ শেষ করতে যাচ্ছি মাত্র, যেটা শুরু হয়েছিল অনেক দশক আগে কাদের মিয়ার খুনের সেই রক্তভেজা বিকালে।’
দুই.
হাসপাতালে নেওয়ার সময় কাদের মিয়া কাতরাতে কাতরাতে অমর্ত্য সেনের বাবাকে বলেছিলেন, তার স্ত্রী অনেক অনুনয়-বিনয় করেছিলেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তিনি যেন শত্রুপক্ষীয় জায়গায় না যান। কিন্তু পরিবারের খাবার নেই বলে বাধ্য হয়ে সামান্য মজুরিতে কাজের সন্ধানে তাকে বের হতে হয়। পরিতাপের বিষয়, সেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতার অভাবের (Economic unfreedom) শাস্তি হয়ে দাঁড়াল মৃত্যু। যদি পরিবারটি ক্ষুদ্র উপার্জন ছাড়াই চলতে পারত, তাহলে গোলযোগের সময় সামান্য মজুরির জন্য কাদের
অন্যদের এবং নিজেদের একটি একক পরিচয়ে দেখার বিপদ নিয়ে অনেক দশক পর তিনি একটি বই লিখলেন। মিয়ার বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না। কাদের অমর্ত্য সেনের মাকেও বলেছিলেন, ক্ষুধার্ত শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে চুপ থাকতে পারেননি বিধায় তাদের জন্য খাবার কিনতে কাজে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্রের কালের কন্ঠ
চট্টগ্রামে ডিবির অভিযানে ৩১টি চোরাই স্মার্টফোন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ইরানের পর এবার ইসরায়েলে রকেট হামলা চালালো আরেক মুসলিম দেশ!
দেশ ছেড়ে ‘পালিয়েছেন’ নেতানিয়াহু
কর্ণফুলীতে মাদক নিয়ে দম্পতি গ্রেপ্তার
আজ দক্ষিণ চট্টলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
**আমরা আবার মাস্ক পরার দিকে ফিরে যাচ্ছি