Search
Close this search box.

এবার নেপালকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

যুব সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। আজ অনূর্ধ্ব-১৯ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলের রোমঞ্চকর ম্যাচে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে গোল দুটি করেন আশিকুর রহমান ও নাজমুল হুদা ফয়সাল। অন্যদিকে নেপালের হয়ে ব্যবধান কমান সুজন দঙ্গল।

সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-২০ আসরে এই নেপালকে হারিয়েই যুব চ্যাম্পিয়নশিপের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। আগামী রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দল। শেষ চারের অন্য ম্যাচে আজ ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে মালদ্বীপ।

অরুণাচলের গোল্ডেন জুবেলি স্টেডিয়ামে দুই দলের ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ে ড্র হওয়ার পথেই ছিল।

কেননা ৭৩ মিনিট পর্যন্ত কোনো দলই জালের দেখা পাচ্ছিল না। সঙ্গে বেশ কিছু আক্রমণ প্রতিহত করে দুই দলের গোলরক্ষকই নিজেদের বীরত্ব দেখান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জাল অক্ষত রাখতে পারেননি দুই গোলরক্ষকই। তবে হাসি মুখে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক ইসলামই হোসেন।

ম্যাচের ৭৪ মিনিটে সোনার হরিণ খ্যাত গোলের দেখা মেলে। নাজমুল হুদা ফয়সালের নেওয়া কর্নার কিকে শুধু মাথাটাই ছোঁয়ান আশিকুর রহমান। তাতে বল ঠিকই জাল খুঁজে নেয়। ৭ মিনিট পর এবার লিড দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক ফয়সাল। ৮১ মিনিটে সতীর্থ মোহাম্মদ মানিকের কাছ থেকে বল পেয়ে তা জালে জড়াতে ভুলেননি ফয়সাল।

দুই গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ দিকে গোল কমানোর সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। তবে ৮৬ মিনিটের সময় সামনে এসে তা হতে দেননি ইসমাইল। ফিরতি মিনিটে অবশ্য জালকে অক্ষত রাখতে পারেননি তিনি। বক্সের মধ্যে থেকে জোরাল শটে ঠিকই স্কোর লাইন ২-১ করেন দঙ্গল। ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আরেকটি গোল করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সালাহ উদ্দিন শাহেদের নেওয়া শটটা অবশ্য আটকিয়ে দেন নেপালের গোলরক্ষক। ব্যবধান আর বাড়াতে না পারলেও শেষে ঠিকই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছেন বাংলাদেশের যুবারা।

এর আগে ম্যাচের ১৭ মিনিটে লিড নেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল নেপাল। তবে অবিশ্বাস্য এক সেভ করে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক ইসমাইল হোসাইন। সতীর্থর কাছ থেকে পাওয়া বলে অনেকটা চিপ শট নেন সুজন দঙ্গল। নেপালের ফরোয়ার্ডে নেওয়া শট দ্রæতই লাফ দিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন গোলবার ছেড়ে এগিয়ে আসা ইসমাইল।

৫ মিনিট পর বাংলাদেশও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। তবে বাংলাদেশের গোলরক্ষকের মতোই বীরত্ব দেখিয়ে রিফাত কাজীর শট কর্নারের বিনিময়ে প্রতিহত করেন নেপালের গোলরক্ষক ভক্ত বাহাদুর পারিয়ার।

অন্যদিকে ম্যাচের ৩০ মিনিটে কপাল পোড়ে দঙ্গলের। বক্সের বাইরে থেকে তার নেওয়া দুর্দান্ত শটটা গোলরক্ষককে বিট করলেও ডান প্রান্তের পোস্টে লাগায় নেপালকে লিড এনে দিতে পারেননি তিনি। ৩৬ মিনিটে নাজমুল হুদা ফয়সালের শট ঠেকিয়ে নেপালকে আরেকবার রক্ষা করেন গোলরক্ষক পারিহার। পরে আর কোনো আক্রমণ থেকে গোল না হলে বিরতিতে যায় দুই দল।