
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে একটি স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করেছে। স্ট্রোক প্রতিরোধ, সময়মতো চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। কর্মসূচিটি একটি র্যালির মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর ডা. মো: আনিসুল ইসলাম খান; সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আমিনুর রহমান (আজাদ) এবং এটেন্ডিং কনসালটেন্ট ডা. মোঃ নাসির উদ্দিন। নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন; কনসালটেন্ট ডা. সোমেন চৌধুরী এবং এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর সিওও সামীর সিং সহ অন্যান্য সিনিয়র কনসালটেন্ট, নার্স, স্টাফস ও রোগীরা সেসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডা. মো: আনিসুল ইসলাম খান বলেন, “স্ট্রোকের প্রাথমিক উপসর্গ দ্রুত শনাক্ত করা গেলে এবং সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে রোগীকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। তাই, স্ট্রোকের কারণ ও উপসর্গ সম্পর্কে জনমনে আরও বেশি ধারণা ও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।”
ডা. সোমেন চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে মৃত্যুর অন্যতম কারণ স্ট্রোক। অনেকেরই এই রোগ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে, যা কম জানা বা সচেতনতার অভাবে সৃষ্টি হয়। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারলে হাজারো রোগীর জীবন বাঁচতে পারে।”
ডা. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, “স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রতিটি মিনিট অত্যন্ত মূল্যবান। উপসর্গ দ্রুত চিহ্নিত করতে পারলে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এজন্য, বিশেষ করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”
ডা. আমিনুর রহমান (আজাদ) বলেন, “আধুনিক স্ট্রোক ম্যানেজমেন্ট শুধু প্রাথমিক চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং রোগীর পুনর্বাসনও সমান গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।”
ডা. মো: নাসির উদ্দিন বলেন, “এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর নিউরোসায়েন্স সেন্টার আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে উন্নত সেবা প্রদানে সবসময় স্বচেষ্ট। রোগীরা আমাদের থেকে নির্ভুল ডায়াগনোসিস, উন্নত সার্জিক্যাল কেয়ার ও মানসম্মত চিকিৎসা অভিজ্ঞতা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।”
সমাপণী বক্তব্যে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম-এর সিওও সামির সিং বলেন, “আমরা সবসময় জনগণকে স্ট্রোক সম্পর্কে সচেতন করতে, দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং সর্বোচ্চ মানের নিউরোলজিক্যাল সেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, আজকের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে সবাই স্ট্রোক প্রতিরোধে আরও সচেতন হবেন ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে পক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
অনুষ্ঠানে পেশেন্ট স্টোরি পর্বে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম থেকে স্ট্রোকের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া কয়েকজন রোগী তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন, যা দ্রুত সমস্যা চিহ্নিত, সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ এবং সমন্বিত সেবার গুরুত্ব প্রমাণ করে।
সবশেষ, হাসপাতালের ইমার্জেন্সি এরিয়া থেকে একটি র্যালি শুরু করা হয়, যেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ, নার্স ও স্টাফ’স এবং পেশেন্ট ও তাদের স্বজনরা অংশ নিয়ে স্ট্রোক প্রতিরোধে একাত্মতা প্রকাশ করেন।