কাজে যোগ না দিলে প্রমাণিত হবে আন্দোলনে নির্বাচন বিরোধী শক্তি আছে: পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীদের উপদেষ্টা

জাতীয় কাজে যোগ না দিলে প্রমাণিত হবে আন্দোলনে নির্বাচন বিরোধী শক্তি আছে: পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীদের উপদেষ্টা

কাজে যোগ না দিলে প্রমাণিত হবে আন্দোলনে নির্বাচন বিরোধী শক্তি আছে: পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীদের উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট

চট্টগ্রামের কন্ঠ

১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ অপরাহ্ণ

বৈষম্য দূর করা ও হয়রানিমূলক পদক্ষেপ বন্ধসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনরত পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, কর্মীরা শিগগিরই কাজে যোগ না দিলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী গণছুটি আন্দোলনের মধ্যে নির্বাচন বিরোধী শক্তি থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের কাছে হাজার হাজার লোক আসতেছে আর বলতেছে, যারা গণছুটিতে গেছেন তাদরে কাজগুলো তারা করতে চান।

ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা তাদের (আন্দোলনকারী) সবগুলো দাবি দেখতে রাজি আছি, কিন্তু ছুটিতে থেকে কাজের ব্যাঘাত করলে তো আমাদের পক্ষে দেখা সম্ভব না। তাই আমরা মনে করি গণছুটি করার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকার কিন্তু যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। আগে যখন এটা হয়েছিল তখন কিন্তু বদলি এবং বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু গত ৭ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটা কিন্তু সরকারের সহনশীলতার পরিচায়ক।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কিন্তু কেউ এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে। পল্লী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাটি পরিচালনার জন্য আমাদের বিকল্প ব্যবস্থা আছে। হাজার হাজার লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিকল্প হিসেবে তাদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমরা আশা করি আমাদের এটা করতে হবে না। যারা আছেন, তারাই থাকবেন। এমন কোনো কাজ আপনারা করবেন না যাতে গণছুটি পল্লী বিদ্যুৎ গ্রহণ করতে বাধ্য না হয়। আমরা আশা করি তারা অবিলম্বে কাজে যোগ দিবেন।’

 

ফাওজুল কবির খান বলেন, কোনোরকম নাশকতামূলক কাজ, অন্য সহকর্মীদের বাধা দেওয়ার মতো কোনো কাজ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যারা গণছুটিতে গেছে তাদের জন্য সরকার অনির্দিষ্টকাল ধরে অপেক্ষা করবে না। ছুটির তো প্রাপ্যতা থাকে।

আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়ে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সুতরাং তারা অবিলম্বে কাজে ফিরে আসবে। যদি না ফেরে তবে বিধি অনুযায়ী যে আইনানুগ ব্যবস্থা, সেটা আমরা নেব।

আন্দোলনকারী কর্মীদের সঙ্গে বসবেন কিনা- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ছুটিতে যে আছে তার সঙ্গে বসবেন কেন? কাজে থাকতে হবে, কাজে থাকলে তার সঙ্গে কথা হতে পারে। ছুটিতে থাকা লোকের সঙ্গে আপনি কিভাবে কথা বলবেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, সামনে নির্বাচন আছে। সবাই যে নির্বাচন চায় তা তো না। অনেকে নির্বাচনটাকে ব্যাহত করতে চেষ্টা করছে। সে সব শক্তি হয়তো এদের মধ্যে…. গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, এর মধ্যে এরাও (নির্বাচন বিরোধী শক্তি) হয়তো যোগ দিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কিন্তু সেটা মনে করি না। আমরা মনে করি পল্লী বিদ্যুতে যারা কাজ করেন তারা আমাদেরই অংশ। তারা হয়তো একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাইরে আছেন। তারা সহসাই ফিরে আসবেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, তবে যদি কাজে ফিরে না আসেন, তবে ওই ধারণাটাই নিশ্চিত হবে যে, এর পেছনে অন্য কারো ইন্ধন আছে। আমরা কিন্তু সব ব্যবস্থা নিচ্ছি, যদি এটা না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে ইন্ধনের কথা (কাজে ফেরা) বলা হচ্ছে সেটা আছে।

প্রসঙ্গত, ৪ দফা দাবিতে গত রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটিতে গেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত শনিবার বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।