ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অন্তত আটটি ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ করে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এর মধ্যে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ও তিনটি অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট।
বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর ও শারজাহ থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটগুলো। হঠাৎ দিক পরিবর্তন হওয়া এসব বিমানে ছিলেন মোট ১ হাজার ২৬৪ যাত্রী।
এদিকে, চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের শুরু হয় অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তার বিড়ম্বনা। বিমানবন্দরের অপেক্ষা কক্ষগুলোতে গাদাগাদি করে কাটাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কেউ ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন, কেউ আবার ছোট শিশুদের নিয়ে ভোগেন তীব্র দুর্ভোগে। যাত্রীদের সাময়িক অবস্থানের ব্যবস্থায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, “অগ্নিকাণ্ডের কারণে ঢাকার রানওয়ে বন্ধ থাকায় আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করে। এর মধ্যে দুটি চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট, বাকি ছয়টি আন্তর্জাতিক। তবে রাত ৯টার পর ঢাকা এয়ারফিল্ড সচল হওয়ায় ডাইভার্ট হওয়া বিমানগুলো একে একে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।”
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যাংককগামী বিজি-৩৮৯, সিঙ্গাপুর থেকে আসা বিজি-৫৮৫, ইউএস বাংলার কুয়ালালামপুর থেকে বিএস-৩১৬, ব্যাংকক থেকে বিএস-২১৮, এয়ার এরাবিয়ার শারজাহ থেকে জি৯-৫১৪, এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৈয়দপুর থেকে বিজি-৫৩৬ ফ্লাইট সহ সবগুলোই চট্টগ্রামে অবতরণ করে।
এদিকে, হঠাৎ ফ্লাইট বাড়ায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে তৈরি হয় সাময়িক চাপ। আন্তর্জাতিক তিনটি ও অভ্যন্তরীণ পাঁচটি নির্ধারিত ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। এর মধ্যে দুবাইগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ এবং দোহাগামী ইউএস বাংলার বিএস-৩৩৩ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ছেড়ে যেতে পারেনি। আর শারজাহগামী এয়ার এরাবিয়ার জি৯-৫২৪ ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, রাত ৯টার দিকে ঢাকার এয়ারফিল্ড পুনরায় সচল হয়। এরপর ধীরে ধীরে ডাইভার্ট হওয়া ফ্লাইটগুলো ঢাকায় ফিরে যেতে শুরু করে।
ইব্রাহীম খলিল আরও জানান, “ডাইভারশন হওয়া ফ্লাইট ছাড়াও অতিরিক্ত চারটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ছাড়ায় বিলম্ব হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।