কোরবানির গুরুত্ব ও তাৎপর্য: আত্মিক শুদ্ধি ও সামাজিক সহমর্মিতা

মোহাম্মদ ইউছুপ, চট্রগ্রাম:

কোরবানির তাৎপর্য কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও দরিদ্রদের সহায়তার একটি মহান উপলক্ষ। পশু জবাইয়ের মাধ্যমে একজন মুসলমান তার অন্তরের পশুত্বকে বিসর্জন দেয়।

আল্লাহ বলেন:

“তাদের গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া।”
— (সূরা হজ: ৩৭)

তাকওয়ার বহিঃপ্রকাশ:
এই আয়াত থেকে স্পষ্ট, কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহভীতি (তাকওয়া) অর্জন। যখন একজন মুসলমান বিশুদ্ধ নিয়তে কোরবানি করে, তখন তা আল্লাহর নিকট গৃহীত হয়।

সামাজিক দিক:
কোরবানির গোশত তিন ভাগে বিভক্ত করা সুন্নত—এক ভাগ আত্মীয়, এক ভাগ দরিদ্র এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য। এটি সমাজে সাম্য ও সহমর্মিতার চর্চা করে।

হাদীস:

“তোমরা গোশত খাও, সংরক্ষণ করো এবং দান করো।”
— (সহীহ মুসলিম: ১৯৭১)

ফেকাহ মতে:
কোরবানির পশু অবশ্যই নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে—গরু বা মহিষ হলে দুই বছর, ছাগল বা ভেড়া হলে এক বছর পূর্ণ হতে হবে। ত্রুটিযুক্ত পশু কোরবানি করা বৈধ নয়।