বাংলাদেশে হাজারো খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শেখ হাসিনা। সেই খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তারা এই খুনিকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে চূড়ান্ত বেইমানি করেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা এসব কথা বলেন।ফেলানী দিবস উপলক্ষ্যে সীমান্তে হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ, সদস্য আব্দুল্লাহ, জয়নুল আবেদীন শিশির প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক মশিউর রহমান।
আখতার হোসেন বলেন, খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এমন একজন খুনিকে আপনারা (ভারত) কোনোভাবেই আশ্রয় দিতে পারেন না। তাই অতি দ্রুত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার কাছে খুনি হাসিনাকে হস্তান্তর করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৪ বছর আগে ফেলানীকে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে ভারত। যখন তারা ফেলানীকে ঝুলিয়েছিল তখনো সে বেঁচে ছিল। কিন্তু তারা তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি, বরং নির্মমভাবে হত্যা করছে। ভারত ১৬ বছরে সীমান্তে ৬ শতাধিক বাংলাদেশি মানুষকে গুলি করে পাখির মতো হত্যা করছে। তাদের যদি বাংলাদেশের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকত- তাহলে এভাবে মানুষ হত্যা করতে পারত না। মূলত ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন সত্য হিসাবে স্বীকার করতে চায় না। তাই সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে।
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ভারতকে সব ধরনের সুবিধা দিয়েছে। মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করেছে। তারা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ভারতের হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি।
