‘গাজায় চুক্তি করুন’ গভীর রাতে ইসরায়েলকে ‘ধমক’ দিয়ে ট্রাম্পের স্ট্যাটাস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। এবার অনলাইনে প্রকাশিত পোস্টে ইসরায়েলকে একপ্রকার ধমক দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। খবর দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।

অপহৃত জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চুক্তিটি করতে ইসরায়েলকে চাপ ও হামাসকে আহ্বান জানান ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ জুন) গভীর রাতে (শনিবার দিবাগত রাত) ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ট্রাম্প লিখেন, ‘গাজায় চুক্তি করুন। বন্দিদের ফিরিয়ে আনুন। ডিজেটি’। ওই পোস্টে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য চাপ দেন। এর আগে ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

প্রেক্ষাপটহীন এই পোস্টটি ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রসিকিউটরদের নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে মামলা বন্ধ করার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো আহ্বান জানানোর কয়েক ঘন্টা পরে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে, তিনি এখন হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রক্রিয়াধীন। যার মধ্যে বন্দিদের ফিরিয়ে আনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এদিকে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদী মন্তব্য করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। তারা এ বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক কল্পনাবিলাস’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিবিনিময় নিয়ে যুক্ত আলোচনায় থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তা রোববার (২৯ জুন) জানান, হামাস ও ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যে অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে আপাতত যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা অনিশ্চিতই রয়ে গেছে। তারা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন একটি পূর্ণ চুক্তিকে সমর্থন করে। যে চুক্তিতে যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের শেষ থাকবে। যাতে ওই অঞ্চলে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়া আরও বিস্তৃত করা সম্ভব হয়।

সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা মনে করি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি হবে।’ তবে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন, ট্রাম্প এই বক্তব্য কোন ভিত্তিতে দিয়েছেন, তা তারা জানেন না।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।