চট্টগ্রাম কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তাঁর সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক
- কক্সবাজারে স্ত্রীকে ধর্ষণের পর তাঁর সামনে স্বামীকে হত্যা, ঘাতক আটক
- ডেস্ক রিপোর্ট
- চট্টগ্রামের কন্ঠ
- ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪
- কক্সবাজার শহরে স্ত্রীর সামনে খুন হওয়া রঞ্জন চাকমা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়েছে ঘাতক বীরেন চাকমা (৫৪)। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মদ্যপ অবস্থায় আটক বীরেন চাকমাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
- পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা নিহত রঞ্জন চাকমা স্ত্রী কালোদেবী চাকমা (৩৫) কে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি কক্সবাজারে কাজের উদ্দেশ্যে আসেন।
- দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে তারা কক্সবাজারে বীরেন চাকমার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেন। বীরেনও কয়েক মাস আগে রাঙ্গামাটি থেকে এসে ঝিলংজার উত্তরণ আবাসিকে ভাড়া থাকছিলেন।
- স্থানীয় এক যুবক বলেন, “রাতে সম্ভবত তারা সবাই একসাথে মদ্যপান করছিলেন। এসময় মদ্যপ অবস্থায় রঞ্জনের স্ত্রীকে পাশের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বীরেন।’
- তিনি বলেন,’স্ত্রীকে বাঁচাতে রঞ্জন এগিয়ে এলে বীরেন তাকে ছুরি দিয়ে গলা আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটি (স্ত্রী) চিৎকার করলে আমরা এগিয়ে আসি।’
- হত্যার পর পালানোর সময় বীরেন চাকমার হাতে রক্ত দেখে স্থানীয়রা সন্দেহ করেন। পরে ব্যাগ হাতে পালাতে গিয়ে তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে এলাকাবাসী।
- স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম বলেন, “হঠাৎ পাশের ফ্ল্যাট থেকে এক নারীর আর্তচিৎকার শুনে আমরা বের হই। বাইরে এসে দেখি ওই নারী কাঁদছে, তার স্বামী মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। একটু পরেই রক্তমাখা হাতে বীরেলকে পালাতে দেখে আমরা তাকে আটক করি।”
- আরেকজন প্রতিবেশী মোসলেম উদ্দিন জানান,“চাকমা পরিবার দু’টি এখানে ভাড়া থাকত। তারা সবাই সুপারি বাগানে কাজ করত। তবে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটবে আমরা ভাবিনি। স্ত্রীর সামনে স্বামীকে এভাবে খুন করা খুবই নৃশংস ঘটনা।”
- খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রঞ্জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
- কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,“ঘাতককে স্থানীয়রা ধরে আমাদের হাতে দিয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।”
- তিনি আরও জানান, নিহতের স্ত্রীকে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নড়াইলের কালিয়ায় গৃহবধূ মুন্নি খানম (১৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গ্রেপ্তার সোহেল সরদার (২০) কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার ডুমুরিয়া গ্রামের সামাদ সরদারের ছেলে।পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে মুন্নি হত্যায় আসামি সোহেলকে শনাক্ত করা হয়। পরে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকার তেঘরিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি মেস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল জানায়, মুন্নির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে তারা নলামারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে দেখা করেন দুজন। এসময় মুন্নিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সোহেল। তবে সোহেলের বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সোহেল রাগান্বিত হয়ে মুন্নিকে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে যায়। সেখান থেকে যাওয়ার সময় সে মুন্নির গলার চেইন নিয়ে যায়। পরে সেটি নকল মনে করে বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ চেইনটি উদ্ধার করে। আসামি সোহেলকে নড়াইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।উল্লেখ্য, দক্ষিণ নলামারা গ্রামের শিমুল মিনার মেয়ে মুন্নি খানমের (২০) প্রায় ১৪ মাস আগে খুলনার তেরখাদা উপজেলার হৃদয় ফকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে সে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসে। সেদিন রাতে শ্বশুরবাড়ি ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেনি। রাত ৯টার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। স্বজনরা সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ব্যর্থ হলে থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।