গ্লোবাল সুপার লিগে নেই সাকিব, কারণ জানাল রংপুর রাইডার্স

কিন্তু সেই সাকিবকেই রাখা হয়নি গ্লোবাল সুপার লিগে অংশ নিতে যাওয়া রংপুর রাইডার্সের স্কোয়াডে।

সোমবার (২৯ জুন) বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে অনুষ্ঠিত জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসান এখনও বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। তার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে চাহিদা এখনো আকাশচুম্বী। আমরা তাকে চাইনি, এমন নয়। তবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তাকে স্কোয়াডে রাখা সম্ভব হয়নি। ’

২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় ঘনিষ্ঠভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন সাকিব। এরপর থেকে আর দেশে ফেরেননি তিনি। উপরন্তু, একাধিক মামলার জটিলতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও কার্যত ছিটকে গেছেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার সুযোগটুকুও আর হয়নি তার।

তবে রংপুর রাইডার্স জানিয়েছে, সাকিবকে স্কোয়াডে না রাখার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি দল পরিচালনা কমিটির। শানিয়ান তামিম বলেন, ‘আমরা কোনো চাপের মুখে ছিলাম না। এটা আমাদের ক্রীড়া দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই নেওয়া সিদ্ধান্ত। যেমনটা সোহানও বলেছে, আমরা সাকিবকে কেবল একজন ক্রিকেটার হিসেবেই দেখি। তার বাইরের পরিচয় নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, এখন তাকে দলে রাখলে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, সে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সাকিব থাকলে আমাদের দলের অনেক জায়গা সহজ হয়ে যেত। ব্যাটিং, বোলিং, এমনকি নেতৃত্বেও তিনি বড় অবদান রাখতে পারতেন। কিন্তু সব দিক বিবেচনায় আমাদের এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আশা করি, সাকিব নিজেও বিষয়টি বুঝতে পারছেন। ’

এদিকে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে এবারের গ্লোবাল সুপার লিগে অংশ নিতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। দলটি স্কোয়াডও ঘোষণা করেছে। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান থাকছেন অধিনায়কের নেতৃত্বে।

রংপুর রাইডার্স স্কোয়াড: নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, সাইফ হাসান, রাকিবুল ইসলাম, ইয়াসির আলী রাব্বি, কাইল মেয়ার্স, তাবরাইজ শামসি, ইব্রাহিম জাদরান, ইফতেখার আহমেদ, আকিফ জাভেদ, হারমিত সিং, খাওয়াজা নাফে এবং খালেদ আহমেদ।

৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি’র অনুষ্ঠানে-প্রফেসর নসরুল কদির মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এস.এম. নসরুল কদির বলেছেন-বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এখনও পর্যন্ত মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করে যাচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে সরকার আসুক না কেন, তাদেরকে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দিকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। এবং এ কাজে মানববাধিকার সংগঠনগুলোকে মানবাধিকার রক্ষায় দেশী-বিদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গণমূখী কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। তিনি আজ সকাল ১০ ঘটিকায় ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আমির হোসেন খাঁন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে আইএইচআরসিজি বাংলাদেশ’র জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ মোস্তফা আলম বলেন, মানবাধিকার সংগঠনের নামে বাংলাদেশের কোন জায়গায় চাঁদাবাজী দখলবাজী, মামলা বাজী করে জনগণকে হয়রানী করা যাবে না। যারা এ কাজে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। এবং আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জনমুখী এবং স্বাধীনতা রক্ষায় যে দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে তাদেরকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আইএইচআরসিজি’র নির্বাহী পরিচালক নুরুল আবসার তৌহিদ বলেন, মানবাধিকার সংগঠনকে বাংলাদেশে প্রান্তিক জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য সকল জেলায় সৎ ও যোগ্য মানুষকে সংগঠনের নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানান। আইএইচআরসিজি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কারী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, নেত্রী নাহিদা আক্তার নাজু ও চম্পা রানী নন্দীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীন আহমদ, সংঠনের নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদিকা তাহেরা শারমীন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, সংগঠনের বিভাগীয় নেতা মোঃ আব্দুর রহিম, পটিয়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারী নেত্রী আফরোজা বেগম জলি, অপকার নির্বাহী পরিচালক মোঃ আলমগীর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউনুচ তালুকদার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ওহাব, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ডা. জামাল উদ্দিন, আর্ন্তাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন, সীতাকুন্ড উপজেলার সভাপতি মোঃ মুসলিম উদ্দিন ভূইয়া, মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী জাবেদ চৌধুরী, সংগঠনের নারী নেত্রী জান্নাতুল মাওয়া মারুফা, শারমীন সরকার, জোহরা সেলিম, সীতাকুন্ড পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মাসুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা মনিরা দিলশাদ তানসি, সংগঠনের নেতা যথাক্রমে-হাজী নুরুল ইসলাম, তাহেরা মহরম, ফাহমিনা আলম, ইঞ্জি: কাজী মিজান, এনাম হোসেন, মোঃ আলাউদ্দিন, আব্দুল কাদের চৌধুরী, মোঃ ইয়াছিন, মোঃ রাজু চৌধুরী, তৌহিদুল আলম তালুদার, মোঃ ইকরাম, ইব্রাহিম লালন, সঙ্গীত শিল্পী এস.বি সুমি, মোঃ ইমাম উদ্দিন, মোঃ আজহারুল ইসলাম তামিম, শান্ত দে, ফয়জুল হক, আসিফ রোহান, মোঃ ইয়াছিন প্রিন্স, তাহমিনা আক্তার প্রমুখ। ৭৭তম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে কেক কেটে এবং অনুষ্ঠান শেষে বিগত কর্মকাণ্ডের উপর সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের কাছে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।