Search
Close this search box.

চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলি ছোড়ে মিঠুন

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতে তাকে ফেনী থেকে গ্রেফতার করে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। বিদেশি পিস্তল দিয়ে গুলি করার কথা সে স্বীকার করেছে। এদিকে, গোপালগঞ্জে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
চট্টগ্রাম : মিঠুন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চকবাজার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তার যে অস্ত্র দিয়ে সে গুলি ছোড়ে সেটি ছিল বিদেশি পিস্তল। একই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ হিসাবেই এলাকাজুড়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করত সে। সোমবার চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিসি (অপরাধ) রইছ উদ্দিন। সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মিঠুন চক্রবর্তী গত ১৬ জুলাই দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন পাঁচলাইশ মডেল থানাধীন ষোলশহর ২নং গেটের চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তার ওপর অবস্থান নেয়। তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পথরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ ধরনের একটি ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। রোববার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফেনী থেকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গোপালগঞ্জ : গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও সাবেক ছাত্রলীগের নেত্রী ফারজানা ইসলাম (তন্নী), পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জ সোহেল সিকদার এবং শহর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহানেওয়াজ খান। গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান। সেনাবাহিনীর টহলরত গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।