চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভূমিহীনদের নামে সরকারি বরাদ্দ হওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় সৈয়দ হাসানুজ্জামান লোটন নামে এক এনজিও কর্মকর্তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মো.মিজানুর রহমানের আদালত এই রায় দেন।
দণ্ডিত হাসানুজ্জামান লোটন ঢাকার মোহাম্মদপুর ইকবাল রোডের ‘রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ফর ল্যান্ডলেস (র্যাডন)’ নামে একটি এনজিও সংস্থার মহাসচিব। তিনি টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার আকুরটাকুর পাড়ার শিমুলতলী রোডের মৃত সৈয়দ এম এন হুদার ছেলে।
জানা যায়, এনজিও র্যাডনের মহাসচিব সৈয়দ হাছানুজ্জামান লোটনের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের ১৮ মে তৎকালীন দুদকের সহকারী পরিদর্শক চৌধুরী এম এন আলম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় দুটি মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্ত সৈয়দ হাছানুজ্জামান লোটন পূর্বে থেকেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম জেলার ১০টি আদর্শ গ্রামের ভূমিহীনদের মধ্যে ঋণ বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন। এ প্রকল্পের জন্য র্যাডনকে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ২ লাখ ২৩ হাজার ১৭০ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। তদন্ত শেষে দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সাক্ষ্য শেষে মামলা দুটির রায় দিয়েছেন আদালত।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল করিম রনি জানান, ৭৯ হাজার ১৭০ টাকা আত্মসাতের একটি মামলায় ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামি হাসানুজ্জামান লোটনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪০৯ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, আত্মসাৎ করা ৭৯ হাজার ১৭০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দুদকের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ কবির হোসাইন জানান, ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় সাক্ষ্যপ্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি হাসানুজ্জামান লোটনকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, আত্মসাৎ করা সমপরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
প্রসঙ্গত, একই আদালত ২০২৩ সালে ২১ সেপ্টেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার ভূমিহীনদের নামে সরকারি বরাদ্দ হওয়া ঋণের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়ের করা মামলায় হাসানুজ্জামান লোটনকে ৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।