চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ের পর দুই পক্ষ সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে ওই ছাত্রীর বাবাকে মারধর করা হলে হাসপাতালে নিতে নিতেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবার দুপুরে নিহত ফখরুল ইসলামের (৫৮) লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার একই এলাকার মুহাম্মদ রিফাত নামের এক তরুণ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে। এরপর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নিয়ে জোর করে ওই মেয়েকে বিয়ে করে। এ ঘটনার পর রাতেই হাটহাজারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এসব নিয়ে শনিবার রাতে উভয় পক্ষ সালিস বৈঠকে বসে। সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্কুলছাত্রীর কাছে ঘটনা জানতে চান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। একপর্যায়ে স্কুলছাত্রীর বাবাকে মারধর করা হয়। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাউসার মুহাম্মদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।