চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও

৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে গাজা কারা শাসন করবে, তা ফিলিস্তিনিরাই ঠিক করবেন- বলল হামাসের সহযোগীরা চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় পটলের বীজ ‘আমাদের কাজ শেষ হয়নি’ দেশে ফিরে বললেন শহিদুল আলম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর : কমিটি না থাকায় বিএনপিতে হতাশা গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার জয় দেখলেন লিওনেল মেসি চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও শান্তিতে নোবেল জয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ইসরায়েলপন্থী! চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে গাজা কারা শাসন করবে, তা ফিলিস্তিনিরাই ঠিক করবেন- বলল হামাসের সহযোগীরা চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় পটলের বীজ ‘আমাদের কাজ শেষ হয়নি’ দেশে ফিরে বললেন শহিদুল আলম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর : কমিটি না থাকায় বিএনপিতে হতাশা গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার জয় দেখলেন লিওনেল মেসি চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও শান্তিতে নোবেল জয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ইসরায়েলপন্থী! চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ৬ বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে গাজা কারা শাসন করবে, তা ফিলিস্তিনিরাই ঠিক করবেন- বলল হামাসের সহযোগীরা চীনা পণ্যে বাড়তি ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় পটলের বীজ ‘আমাদের কাজ শেষ হয়নি’ দেশে ফিরে বললেন শহিদুল আলম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর : কমিটি না থাকায় বিএনপিতে হতাশা গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার জয় দেখলেন লিওনেল মেসি চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও শান্তিতে নোবেল জয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো ইসরায়েলপন্থী! চট্টগ্রাম মহানগরে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল

চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম নগরীতে এ প্লাসধারী রেস্তোরাঁ ২৯, জেলায় নেই একটিও

তাসনীম হাসান

১১ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

এ প্লাস- এ শব্দ দুটি শুনলেই সবার মনে পড়ে পরীক্ষার ফলের কথা। তবে এই গ্রেড পদ্ধতি এখন রেস্তোরাঁর মান যাচাইয়েও ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে চট্টগ্রাম নগরীর ২৯টি রেস্তোরাঁকে দিয়েছে এই এ প্লাস গ্রেড। তবে জেলার কোনো উপজেলায় এই স্বীকৃতি পায়নি একটি রেস্তোরাঁও। শহরের রেস্তোরাঁ যতটা নিরাপদ হচ্ছে, গ্রামের রন্ধনঘর ততটাই পিছিয়ে পড়ছে- এই পরিসংখ্যান যেন সেই বাস্তবতারই ইঙ্গিত দেয়।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নগর ও জেলা কার্যালয়ের অধীনে নিবন্ধিত রেস্তোরাঁ রয়েছে ১০৫০টি। এর মধ্যে নগরীতে ৫০০টি এবং জেলায় ৫৫০টি রেস্তোরাঁ। এসব রেস্তোরাঁর ৫৩টি পেয়েছে বি থেকে এ প্লাস পর্যন্ত গ্রেড।

দেশে ২০১৯ সালের শুরুতে রেস্তোরাঁগুলোর মান অনুযায়ী স্তর বিন্যাস করা শুরু করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গ্রেডিং বিন্যাসের পর রেস্তোরাঁগুলোকে সবুজ (এ প্লাস), নীল (এ), হলুদ (বি) ও কমলা (সি) রঙের স্টিকার সরবরাহ করা হয়। এ প্লাস মানে উত্তম, এ মানে ভালো, বি মানে গড়পড়তা বা মোটামুটি এবং সি মানে-অনিরাপদ ধরা হয়। তাই এই স্টিকারগুলো নির্দেশ করে রেস্তোরাঁটি কতটুকু নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছে। চট্টগ্রামে কতটি অনিরাপদ রেস্তোরাঁ রয়েছে সেটির অবশ্য কোনো তালিকা নেই। তবে অভিযান হলেই যেভাবে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ খাদ্য ব্যবহারের চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে বিপুল সংখ্যাক রেস্তোরাঁর মান নিয়ে আশঙ্কা রয়েই যায়।

নগরীতে এ প্লাস পাওয়া ২৯ রেস্তোরাঁ: পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের ওপরে পেলেই এ প্লাস ধরা হয়। তবে রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে এ প্লাস পেতে হলে ৯০ নম্বর পেতে হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আবেদনের ভিত্তিতে তদারকি করে তিন পর্যায়ে ৩৩টি রেস্তোরাঁকে গ্রেডিং দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নগর কার্যালয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯৮ নম্বর পেয়েছে চট্টগ্রামের একমাত্র পাঁচ তারকা হোটেল-রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ।

৯৫ নম্বর পেয়েছে তিনটি রেস্তোরাঁ; সেগুলো হলো জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের জামালখান ও জিইসি শাখা এবং পতেঙ্গার রিভার ভিউ রেস্তোরাঁ।

৯৪ নম্বর পাওয়া পাঁচ রেস্তোরাঁ হলো, পতেঙ্গার বারকোড ফুড জংশন, জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস বাংলাদেশ লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা, সিলভার স্পুন, দ্য পেনিনসুলা চট্টগ্রাম এবং হোটেল সেন্টমার্টিন লিমিটেড।

৯৩ নম্বর পেয়েছে জিইসির পিৎজা হাট, খুলশীর কে বেকারি, মুরাদপুরের বারকোড ফুড জংশন এবং এম এম আলী রোডের দি ইটালিয়া চট্টগ্রাম।

৯২ নম্বর পেয়েছে দামপাড়ার গ্র্যান্ড মোগল রেস্টুরেন্ট, আগ্রাবাদের সাংরীলা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও দি কপার চিমনি।

৯১ নম্বর পেয়েছে লালখান বাজারের পিটস্টপ রেস্টুরেন্ট, খুলশীর তাওয়া রেস্টুরেন্ট এন্ড লাউঞ্জ ও চকবাজারের দি কপার চিমনি।

৯০ নম্বর পেয়েছে ১০টি রেস্তোরাঁ। সেগুলো হলো-ওয়াসার কাচ্চি ভাই, জিইসির ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স, জিইসির মেরিডিয়ান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্স ও দি প্যাভিলিয়ন, জামালখানের চিলক্স ও পিৎজা বার্গ, হালিশহরের বে লিফ রেস্টুরেন্ট, আগ্রাবাদের দি গ্রিন শ্যাডো রেস্টুরেন্ট ও হোটেল জামান এন্ড বিরিয়ানি হাউস। ৮৪ থেকে ৮৭ নম্বর পেয়ে এ গ্রেড পাওয়া চারটি রেস্তোরাঁ হলো-বায়েজিদের ক্যাফে বায়েজিদ, হালিশহরের তায়েফ রেস্টুরেন্ট, জামালখানের দাওয়াত রেস্টুরেন্ট ও আগ্রাবাদের মেসার্স ঘরনা রেস্তোরাঁ।

উপজেলায় এ প্লাস পায়নি একটি রেস্তোরাঁও: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ে ২০টি রেস্তোরাঁকে গ্রেডিং দিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি রেস্তোরাঁও এ প্লাস পায়নি। তবে এ (৮০-৯০ নম্বর) পেয়েছে এমন রেস্তোরাঁ আছে সাতটি। সেগুলো হলো-আনোয়ারার স্বপ্ন বিলাস ও সাদিয়াস কিচেন, মিরসরাইয়ের বারইয়ার হাট কাশবন রেস্তোরাঁ, কর্ণফুলীর নিশাম ক্যাফে ও মাসুদ এগ্রো ফুড প্রসেসিং, লোহাগাড়ার চুনতির ফোর সিজন এবং বাঁশখালীর রয়েল হান্ডি। বাকি ১৩টি প্রতিষ্ঠানই ৬০-৮০ নম্বর পেয়েছে। সেগুলোকে বি গ্রেড ধরা হয়েছে।

যেভাবে করতে হয় আবেদন: এই গ্রেডিং পেতে নির্ধারিত ফরমে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হয় সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিককে। ওই আবেদনে রেস্তোরাঁ সংক্রান্ত ১৩ ধরনের তথ্য এবং ৯ রকমের নথিপত্র সংযুক্ত করতে হয়। তথ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা, রেস্তোরাঁ চালুর তারিখ, কি কি খাবার উৎপাদন করেন সেগুলোর হিসেব, খাদ্য কর্মীদের সংখ্যা ইত্যাদি। এছাড়া নথিপত্রের মধ্যে- মালিক ও আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের কপি, জেলা প্রশাসনের লাইসেন্সের কপি, হালনাগাদ প্রিমিসেস লাইসেন্স এবং খাদ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদের কপি, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের কপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিরাপত্তা ছাড়পত্র, পানি সংযোগ গ্রহণের কপি অন্যতম।

আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীকে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও খাদ্য স্থাপনার জন্য প্রণীত সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুযায়ী খাদ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং সকল বিধিবিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে বাধ্য থাকবেন মর্মে অঙ্গিকার করতে হয়।

যেভাবে দেওয়া হয় গ্রেডিং: নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার সময় তথ্য ও নথিসহ রেস্তোরাঁর পরিবেশ যাচাই করে। এ সময় ৮টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ১০০ নম্বরে মূল্যায়ন করে তারা। এর মধ্যে প্রশাসনিক বিষয়ে ৮, পরিবেশ ও প্রদর্শনের জন্য ১৪, ভোক্তার সঙ্গে আচরণের জন্য ৯, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য ১৬, স্বাস্থ্যবিধির জন্য ২০, খাদ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির জন্য ৬, খাদ্যদ্রব্য মজুদ ও সংরক্ষণের জন্য ১৯ এবং খাদ্য ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার জন্য ৮ নম্বরের ওপর ভিত্তি করে যাচাই করা হয়। এসব বিষয়ের অধীনে আবার পৃথক অনেক বিষয়ে নম্বর দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘এ প্লাস পেয়েছে মানে রেস্তোরাঁটি একেবারে ‘নিষ্পাপ’ তা নয়। এটি নিয়মিত চর্চার বিষয়। বেশ কিছু মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হয়। আমরা ধারাবাহিক তদারকি কার্যক্রম পরিচালনার ওপর যে চিত্র পেয়েছি তার ভিত্তিতে এই গ্রেডিং দেওয়া হয়েছে। তবে সেই মানদণ্ডগুলো ধারাবাহিকভাবে ভালো রাখতে হবে। তদারকি কার্যক্রমে গিয়ে যদি দেখা যায় রেস্তোরাঁটি হালনাগাদ করেছে তাহলে তাকে পরের গ্রেডিংয়ে উন্নীত করা হয়, আবার যদি অবস্থা আরও খারাপ হয় তাহলে গ্রেডিং মান কমে যাবে।’

ভোক্তাদের চাওয়া- রেস্তোরাঁর মানের বিষয়টি যেহেতু সরাসরি স্বাস্থ্য ও জীবনের সঙ্গে জড়িত, তাই সব রেস্তোরাঁকে গ্রেডিংয়ের আওতায় আনা হোক। সেটি হলে এত এত রেস্তোরাঁর ভিড়ে ভোক্তারা অন্তত জানতে পারবেন কোনটি মোটামুটি নিরাপদ!