জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি মো. আব্দুর রহিম। গত ৫ আগস্টের আগে তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ছিলেন। পট পরিবর্তনের পর হয়েছেন শ্রমিকদল নেতা।
আব্দুর রহিম নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সাভার পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি। গত বছরের ৫ আগস্টের আগে তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী জেলা শাখার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাভার পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি।
জানা গেছে, আব্দুর রহিমের বাড়ি নোয়াখালী হলেও তিনি বসবাস করেন ঢাকার সাভারে। জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি তিনি। সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলোর সঙ্গে তার ছবি ভাইরাল হয়। নিজ জেলার বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়ায় তার বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়েছে।
নোয়াখালীর এওজবালিয়া ইউনিয়নের বিএনপির সমর্থক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহিমের যেহেতু পূর্বের ক্রাইম রেকর্ড আছে এরা দল পাল্টাইলেও স্বভাব পাল্টাতে পারবে না। কয়দিন পর কোনো অপকর্ম করে সেটাকে বিএনপির ঘাড়ে দেবে। এই ধরনের দুষ্কৃতকারীদের এখনই রুখে দিতে না পারলে বিএনপির বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।
মো. জিয়া নামের এক বিএনপি নেতা বলেন, আব্দুর রহিম জুলাই বিপ্লবে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। সে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রোডাক্ট যার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা চলমান। বর্তমানে তিনি খোলস পাল্টিয়ে নিজের নামের সঙ্গে শ্রমিকদলের ট্যাগ লাগাচ্ছে। কত দুঃখজনক ঘটনা। অনেকে জেনেও এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. আব্দুর রহিম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আমার চাকরির কারণে ছবি তুলতে হয়েছে। আমি বিএনপি করি। সাভার বিএনপিতে আছি। আমার বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের মামলায় জেল খেটেছি।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, আব্দুর রহিম আমাদের বাড়িতে তার বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। সেই সূত্রে সে বাড়িতে এসে ছবি তুলেছে। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে অথবা আওয়ামী লীগ করার অভিযোগ আছে এটা আমার জানা ছিল না।