Search
Close this search box.

জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিকদের ভূমিকা চিহ্নিত করতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হবে। -প্রেস সচিব

এমরানুল ইসলাম মুকুল :
স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগঠিত জুলাই বিপ্লবে এদেশের অনেক সাংবাদিক আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পতিত শেখ হাসিনাকে মদদ দিয়েছিলো। ন্যাক্কারজনকভাবে ছাত্র-জনতাকে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে তুলে দিয়েছিলো। আন্দোলনের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ স্বৈরাচারীর হাতে তুলে দিয়ে নির্যাতনের সুযোগ করে দিয়েছিলো। অনেকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টায় সহযোগিতার অভিযোগও রয়েছে। এরপরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অভিযুক্ত কোনো সংবাদ মাধ্যম কিংবা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। ওই দোসররা এখনও তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। এরপরও বর্তমান সরকার কোনো সাংবাদিককে চাকুরীচ্যুত করতে বলেনি। তবে আমরা অচিরেই জাতিসংঘের সাথে আলোচনা করবো। তাদেরকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে ওই সময়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ভূমিকা নিরুপনের অনুরোধ করবো। সেই প্রতিবেদনের আলোকেই চিহ্নিত হবে দোষী সাংবাদিকরা।
এসকল কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ২ মে শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ : গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস সচিব আরও বলেন, চট্টগ্রামে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা এবং তাদেরকে স্বৈরাচারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার সরাসরি অভিযোগ রয়েছে কয়েকজন সাংবাদিকের নামে। এসকল বিষয়ে তদন্ত করার জন্য একজন সিনিয়র বিচারক এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠনের জন্য চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবকে আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আলোচ্য বিষয়ের উপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন এবং মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
সাংবাদিক মুরাদ মাওলা ও সিএমইউজে সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের উপস্থাপনায়
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ এবং জুলাই বিপ্লবে জড়িত এক ছাত্রী ও দুই ছাত্র।
বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।