জেলা প্রশাসনের অনুমতি রয়েছে এমন মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিন (খনন যন্ত্র) ও বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করেছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) উপজেলার মাদার্শা-এওচিয়া মৌজার পশ্চিম এলাকার পাহাড়ের গৌচছড়ি খালে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নিকট সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের মধ্য এওচিয়া এলাকার গোলাম আকবর খন্দকারের ছেলে জসিম উদ্দিন খন্দকার নামে এক ব্যক্তি সাতকানিয়ার পশ্চিম এলাকার মাদার্শা-এওচিয়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গৌচছড়ি নামের একটি খালের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ড্রেজিং এর মাধ্যমে মাটি/বালু উত্তোলণের জন্য আবেদন করেন। আবেদন করলেও পাওয়া যায়নি ডিসির অনুমতি। তবে, এলাকায় প্রচার করা হয় বালু উত্তোলনের জন্য ডিসির অনুমতি রয়েছে। এলাকার লোকজন ডিসির অনুমোদন না পাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও জসিম খন্দকার কারও কথার তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। শুধু তাই নয়, এর প্রতিবাদে ৩১ জুলাই ওই খাল থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনের বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে রোববার সকালে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান বলেন, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে গৌচছড়ি খাল থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে নদী ভাঙন, ফসলি জমি, ফলজ বাগান, পাহাড় ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। তারই প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে একটি ড্রেজার মেশিন ও বিপুল পরিমাণ পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।