ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনায় দুর্ভোগে পড়েছেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে যাত্রীরা। ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার কারণে লা্উঞ্জে অপেক্ষা করছেন যাত্রী-ক্রুসহ ১ হাজার ২৬৪ জন যাত্রী।
অপেক্ষমাণ যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানবন্দরে মশার উপদ্রব বেশি। এয়ারলাইন্সগুলো কোনো ‘টেককেয়ার’ করছে না। শিশুরা পড়েছে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে অনেকে। এয়ারলাইন্স থেকে খাবার দেওয়ার কথা থাকলেও, তারা তা দেয়নি।
তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাত ৯টা ৬ মিনিটে ফ্লাইট কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। এর মধ্যে ফ্লাইটও নিরাপদে অবতরণ করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ফ্লাইট চলাচলও স্বাভাবিক হবে, ডাইভার্ট হয়ে আসা ফ্লাইটগুলো ঢাকায় ফিরবে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ৯টায় এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনজংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ডাইভার্ট হয়ে আসা ফ্লাইটগুলোতে পাইলট, ত্রুসহ সর্বমোট যাত্রী ছিল ১ হাজার ২৬৪ জন।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের জনজংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল জানান, এটি একটি জাতীয় দুর্যোগ। তাই সবাইকে সাহস নিয়ে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা প্রথমে এয়ারপোর্ট লাউঞ্চ এনশিওর করেছি।
এর আগে হিমালয় এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ১৮০ জন যাত্রীসহ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দরে অবতরণের কথা ছিল। পরে সেটাকে নেপালে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দুবাই থেকে ছেড়ে আসা এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট করাচি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।
চেন্নাই থেকে ছেড়ে আসা ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। শারজাহ থেকে ছেড়ে আসা এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে।