মেহজাবীন আফরোজা আলম স্নেহা। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (বাওয়া) থেকে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। শুধু তাই নয়, এইচএসসিতে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১ হাজার ২৫১ নম্বর পেয়ে চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন স্নেহা। যদিও অদম্য চেষ্টার পরও তিনি ভাবেনইনি চট্টগ্রাম বোর্ডে সেরা হওয়ার মুকুট তারই হবে। কেননা এসএসসি পরীক্ষায় কাক্সিক্ষত ফলাফল না আসায় এইচএসসি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন স্নেহা।
বোর্ডসেরা মেহজাবীন আফরোজা আলম স্নেহা ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বর্তমানে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বন্দর থানাধীন নিমতলা এলাকার মো. মঞ্জুর আলম ও নাসরিন সুলতানা রনি দম্পতির বড় মেয়ে স্নেহা।
জানতে চাইলে স্নেহা বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় কাক্সিক্ষত রেজাল্ট অর্জন করতে পারিনি। আশা করেছিলাম এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাবো; কিন্তু আমার জিপিএ ছিল ৪.৭৮। তবে এইচএসসিতে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তিটা বেশি। আশা করেছিলাম ভালো রেজাল্ট করবো, তবে সেটা যে বোর্ডের সেরা হবে তা জানতাম না।
নিয়মিত পড়াশোনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্নেহা বলেন, সত্যি কথা বলতে আমি আসলে ঘণ্টা হিসেব করে পড়াশোনা করতাম না। যখন যতটুকু প্রয়োজন ছিল পড়া শেষ করেছি। আজ কোন কারণে পড়া শেষ করতে না পারলে তা আগামীকাল শেষ করতাম। কয়েকদিনের পড়া জমিয়ে রাখতাম না।
স্নেহার বাবা মো. মঞ্জুর আলম বলেন, স্নেহার এসএসসি পরীক্ষার সময় তার মা করোনায় আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে ছিল। এরপরও দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। সেসময় প্রস্তুতি ভালো হলেও শেষ সময়ে রিভিশন ভালোভাবে দিতে পারেনি। ফলে কাক্সিক্ষত রেজাল্ট অর্জন করতে পারেনি। এটা নিয়ে তার মন খারাপের শেষ ছিল না
তিনি আরও বলেন, তবে কলেজে ভর্তি হয়ে আবার পড়াশোনা শুরু করে স্নেহা। নিয়মিত কলেজ ও কোচিং চলছিল। এর মধ্যে আবার বাসায় স্যার রেখেছি। সবমিলে স্নেহার ইচ্ছে ছিল ভালো ফলাফল অর্জন করা এবং এসএসসিতে না পাওয়া জিপিএ-৫ অর্জন। তবে এখন আরও ভালো লাগছে; জিপিএ-৫ অর্জন করেছে চট্টগ্রাম বোর্ডের সেরা হিসেবে। মেয়ের সাথে সাথে আমাদেরও আশা স্নেহা একজন মানবিক ডাক্তার হবে।
মঞ্জুর আলম আরও বলেন, স্নেহার এই অর্জনে ওর মায়ের প্রচুর গাইড ছিল। স্নেহা যখন রাত জেগে পড়াশোনা করতো ওর মা পাশে বসে থাকতো।