Search
Close this search box.

দোলনার মতো দুলছিল বহুতল ভবন, বাচ্চাসহ বেঁচে ফিরে লোমহর্ষক বর্ণনা

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পে দেশটিতে দেড়শাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত ও নিখোঁজ অগণিত; সরকার সংশ্লিষ্টরা এসবের হিসাব ও খোঁজ করছেন। মোট নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। ভয়াবহ ও শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে ফেরা প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবনগুলো অনেকটা দোলনার মতো দুলছিল।

সন্তানদের নিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই ছিলেন সিরিনিয়া নাকুতা, হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে বেশ কিছু সময়েও তা না থামায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।

রয়টার্সকে নাকুতা বলেন, ‘কম্পন থামছিল না। উপরের তোলা থেকে পাথরের মত জিনিস খসে পড়ার শব্দ শুনতে পাই। তখন বাচ্চাদের বলি, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না, বাইরে চলে যাওয়া উচিত।’

নাম প্রকাশ না করে আরেক ব্যক্তি ঘটনার বর্ণনায় বলেন, ‘ঘুম থেকে জেগে দেখি ভবন মারাত্মকভাবে দুলছে। কাঁপাকাঁপি প্রায় তিন থেকে চার মিনিট চলে। বন্ধুদের কাছ থেকে মেসেজ পাচ্ছিলাম। দেখলাম কম্পন শুধু ইয়াঙ্গুন নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই হয়েছে।’
এদিকে, ভূমিকম্পের পর ব্যাংককে মেট্রো ও রেল সেবা স্থগিত করা হয়েছে। সুজসান্না ভারি-কোভাকস নামে একজন বলেন, ‘রেস্তোরাঁয় আমি বিলের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সেসময় কম্পন বুঝতে পারি। প্রথমে মনে করেছিলাম, শুধুই আমার কাছেই এমন মনে হচ্ছে। তারপর দেখি সবাই তাকিয়ে আছে। তৎক্ষণাৎ আমরা বাইরে দৌড়ে বের হয়ে যাই।’