চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নেশার টাকা যোগাতে জান্নাতুল মাওয়া মিমহা (৩ মাস) নামের একমাত্র কন্যা সন্তানকে বিক্রির অভিযোগে বাবা মিরাজ উদ্দীন (৩০) কে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাত ৯ টার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের আকবর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আটক পিতা মিরাজ উদ্দীন সদর ইউনিয়নের আকবর পাড়ার মৃত হাফিজুর রহমানের পুত্র। সে পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক।
জানা গেছে, বিগত ২ বছর আগে বান্দরবানের নেক্ষ্যংছড়ির বদ্দানঝিরির আছারতলি এলাকার আসমাউল হোসনার সাথে বিয়ে হয় ধৃত মিরাজ উদ্দীনের সাথে। সেই ঘরে তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। নেশার টাকা যোগাতে সেই একমাত্র সন্তানটিই বিক্রি করেছিল পিতা।
খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানার এসআই মাঈন উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানার পশ্চিমে মছদিয়া এলাকা হতে শিশুটিকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিশুটিকে ওষুধ কিনতে ফার্মেসিতে যাওয়ার কথা বলে স্থানীয় রাহাত নামে এক কিশোরের হাতে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে যায়।
তার স্ত্রী আসমাউল হোসনা জানান, আমার স্বামী নিয়মিত মাদক সেবন করত। প্রতিবাদ করলে বিবিধ অজুহাতে আমাকে মারধর করত, আমাকে মারধরের হুমকি দিয়ে একটি স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।
জানতে চাইলে বলে মেয়েটিকে লালন পালনের জন্য দিয়ে দিচ্ছি, টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেছে প্রথমে জানায়নি, পরে জানতে পেরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশে খবর দিলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণের মধ্যে আমার মেয়ে উদ্ধার করে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। শিশুটির মা আরও বলেন, প্রয়োজনে আমি ভিক্ষা করব তবুও আমি আমার সন্তানকে কাউকে দিবনা।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, শিশু বিক্রি হয়েছে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ধৃত পাষন্ড পিতার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।