Search
Close this search box.

পাকিস্তানের ফতেহ ক্ষেপণাস্ত্র কেন এত ভয়ংকর?

ভারতের দিল্লি লক্ষ্য করে পাকিস্তানের ফতেহ-২ ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছিল। তবে ভেস্তে গিয়েছে প্ল্যান। হরিয়ানার সিরসাতেই ইসলামাবাদের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেয় ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এতে পাকিস্তানের স্বপ্ন মাটিতে মিশিয়ে যায় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

শনিবার (১০ মে) আন্দনবাজার পত্রিকা জানায়,পাকিস্তানের বহুল আলোচিত ফতেহ-২ হলো ভূমি থেকে ভূমি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি ফতেহ-১-এর থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। ফতেহ-২ ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আন্দনবাজার পত্রিকা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ফতেহ-২ পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র। এটি হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ‘প্রিসিশন’ হামলার ক্ষেত্রে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিশেষ করে সেনাঘাঁটি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, ফতেহ ২-এর ‘সার্কুলার এরর প্রবেবল’ মাত্র ১০ মিটার। মানে যেখানে নিশানা করে, তার আশেপাশের ১০ মিটারের বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে না। আগে থেকে ঠিক করে রাখা কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করতেই এই ধরনের মিসাইল ব্যবহার করা হয়। আর পাঁচটা মিসাইলের মতো বেঁকে নয়, সোজাসুজি পথে আসে বলে একে ধ্বংস করা কঠিন হয়। একে বলে ফ্ল্যাট ট্র্যাজেক্টরি।

তবে পাকিস্তানের দাবি, ফতেহ ২ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল পাকিস্তানেরই তৈরি করা একটি গাইডেড আর্টিলারি রকেট। চারবছর আগে, ২০২১-এর ডিসেম্বরে পাক সেনা প্রথম এই মিসাইলের আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা করে। ফতেহ সিরিজের ফতেহ ১-এর আপগ্রেডেড ভার্সন এটি। যার পাল্লা বেশি ও টার্গেটকেও আরও নির্ভুলভাবে নিশানা করতে পারে। ফতেহ-২ তাদের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। যদিও এই ক্ষেপণাস্ত্রের জন্মের নেপথ্যে চিন রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়।

সম্প্রতি ভারতের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনকে টার্গেট করে ‘ফতেহ ২’ মিসাইল ছুড়ে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ভাঙতে চেয়েছিল। উল্টো মিসাইলটি নিজেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, পাকিস্তানি ‘ফতেহ ২’ মিসাইলকে হরিয়ানার সিরসায় মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ফতেহ-২ মিসাইলকে ভারতের লং রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (LR-SAM) বারাক-৮ মিসাইল সিস্টেম ধ্বংস করে। এতে কোনও ভারতীয় সেনাঘাঁটিরই কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেও জানানো হয়।